ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব গাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি জিপিএস ট্র্যাকারও লাগানো হবে। গতকাল ডিএনসিসির নগর ভবনের সভাকক্ষে চালকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। মেয়র বলেন, নিজে বাসায় শুয়ে-বসে থেকে বদলি চালক দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। এর প্রমাণ পাওয়া গেলে চাকরিচ্যুত করা হবে। জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো হবে সব গাড়িতে। প্রতিটি গাড়ি কোথায় যায়, কখন বের হয় সবকিছুর রেকর্ড রাখা হবে। এসব নির্দেশনা না মানলে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক (বিদায়) দেওয়া হবে।
ডিএনসিসির সব গাড়ির বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নিবন্ধন ও নিয়মিত ফিটনেস পরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র। বিআরটিএতে চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ২৫ জন করে চালককে বিআরটিএতে পাঠানো হবে। তাদের সাত দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বছরে একবার এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে চালকদের। বর্জ্যরে কোনো গাড়ি দিনে চালানো যাবে না। তবে জরুরি প্রয়োজনে কিছু গাড়ি চলবে। প্রত্যেক চালকের লাইসেন্স থাকতে হবে এবং তা সঙ্গে রাখতে হবে।
চালকদের পক্ষে ডিএনসিসি পরিবহন চালক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাজাবুল হক বলেন, বর্জ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িকে সিটি করপোরেশনের লোগো ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। ২০১৪ সালে ৬৮ জন চালক নিয়োগের যে প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরও থেমে গেছে ওই নিয়োগ দিতে হবে। বহিরাগতদের হাতে কে গাড়ির চাবি তুলে দিল তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মেয়র আতিক। আনিসুল হকের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে কবরে মুনাজাত করেন তারা। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও স্মার্ট ঢাকার স্বপ্ন দেখতেন। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তাঁর স্বপ্ন ও অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। অপরিকল্পিত ঢাকাকে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় রূপান্তরিত করতে হবে। এ সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
