বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শিক্ষকের মৃত্যুতে উত্তপ্ত কুয়েট

আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা । একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের । প্রতিবাদ সভা আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

শিক্ষকের মৃত্যুতে উত্তপ্ত কুয়েট

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা ও দোষী প্রমাণিত হলে তাদের ছাত্রত্ব বাতিলসহ সাত দফা দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে এ দাবির কথা জানান। এদিকে ওই শিক্ষকের সঙ্গে রূঢ় আচরণের ঘটনায় জড়িতদের সাময়িক বহিষ্কার এবং তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন মারা যান। তিনি লালন শাহ ছাত্রহলের প্রভোস্ট ছিলেন। চিকিৎসকরা জানান, হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, মৃত্যুর আগে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলেন ওই শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা জানান, লালন শাহ ছাত্রহলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে ছাত্র সংগঠনের কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তারা হলের প্রভোস্ট সেলিম হোসেনকে নিয়মিত হুমকি দিত তাদের মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা ক্যাম্পাসে ড. সেলিম হোসেনের গতি রোধ করে। পরে ওই শিক্ষককে তড়িৎ প্রকৌশল ভবনে তার ব্যক্তিগত কক্ষে এনে আনুমানিক আধা ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে। এরপর সেলিম হোসেন দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় যান। বেলা আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন, সেলিম হোসেন বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। এরপর দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ঘটনার কয়েকটি পার্ট আছে। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দোষী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার এবং তদন্তের পর দোষী প্রমাণিত হলে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা। একই সঙ্গে এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (আজ) বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে দুর্বার বাংলার পাদদেশে শিক্ষকদের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর