বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে স্থিতিশীল হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে স্থিতিশীল হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখনো স্থিতিশীল হয়নি। দ্রুত ওঠানামা করছে। আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল হলে সরকারও দেশে ব্যবস্থা নেবে। এ ব্যাপারে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন আমরা সেটাই অনুরসণ করব। গতকাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখনো ওঠানামা করছে। কোনোদিন জ্বালানি তেলের দাম ২০ ডলার কমে তো, পরের দিন ২ ডলার বাড়ে। যখন তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমে স্থিতিশীল হবে, তখন আমরাও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রেক্ষাপটে গত ৩ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তারপর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে থাকায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন তেলের দাম কমোনোর দাবি করে আসছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার কারণে দেশেও দাম কমানো হবে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সম্প্রতি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন থেকে দাম কমানোর প্রস্তাব পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন তিনি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য সমর্থন করে বলেছেন, ‘সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, সেটি আমারও বক্তব্য।

প্রসঙ্গ অর্থ পাচার : সম্প্রতি জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, তার কাছে অর্থ পাচারকারীদের কোনো তালিকা নেই। বিরোধী দলের সদস্যদের কাছে পাচারকারীদের তালিকা চান তিনি। গতকাল এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকায় কিছু নাম আমি পেয়েছি, যাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা কাজ করছে। আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

অর্থ পাচার বন্ধে গত দুই বছরে কী ব্যবস্থা নিয়েছি, তার অগ্রগতি এবং কতজন শাস্তি পেয়েছে, সে তথ্য তুলে ধরা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারব না। ব্যবস্থা নেবে আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো’। অর্থ পাচারকারীদের সম্পর্কে জানতে অর্থমন্ত্রীর নিজস্ব কোনো মেকানিজম রয়েছে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না নেই। মেকানিজম রয়েছে সরকারের। কেউ পাচার করলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়, তাকে গ্রেফতার করে জেলে নেওয়া হয়। বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গ ওমিক্রন : বিশ্বে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে। এতে বাংলাদেশের কোনো ধরনের আছে কিনা-বা এখানে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বাংলাদেশে এখনো সংক্রমিত হয়নি। যদি এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে এবং তাতে দেশের মানুষ ও অর্থনীতির ওপর কোনো প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে তা মোকাবিলায় অতীতের মতো সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে আমার বিশ্বাস এ ধরনের কোনো কিছু এখানে ঘটবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর