শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মশার কামড়ে কাবু চসিক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

মশার কামড়ে কাবু চসিক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরে মশার উপদ্রব ঠেকাতে বর্তমানে ব্যবহৃত ওষুধের মান যাচাই, ঢাকায় ব্যবহৃত ওষুধ ও পরিচ্ছন্ন বিভাগ পরিদর্শন এবং নগরের মশার উৎপত্তিস্থল নিয়ে জরিপসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। তবুও কার্যকর-দৃশ্যমান কোনো ফল মেলেনি। মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি মিলছে না নগরবাসীর। দিনরাত সমানেই মশার অত্যচারে অতিষ্ঠ হতে হচ্ছে সবাইকে। ফলে মশাতেই কাবু হয়ে আছে চসিক। তবে নগরে মশকনিধন কাজ এবং ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত চসিকের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সাধারণ সভায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন কাউন্সিলররা। তাছাড়া এ নিয়ে দুই কাউন্সিলরের মধ্যে বাকবিতন্ডাও হয়। অভিযোগ আছে, চসিক মশকনিধনের কথা বললেও কার্যত তার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায় না। নামমাত্র কিছু এলাকায় ওষুধ ছিটালেও প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রয়োজন অনুসারে ওষুধ ছিটানো হয় না। এমন ওয়ার্ডও আছে যেখানে কখনো ¯ন্ডেপ্র-ম্যান চোখে দেখেনি স্থানীয়রা।  

জানা যায়, চসিক মেয়রের নির্দেশে গত ১৪ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ল্যাবে বর্তমানে ব্যবহৃত ওষুধের গুণগতমান পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ওষুধগুলো অকার্যকর বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তাছাড়া, নতুন করে কীটনাশক সংগ্রহে মেয়রের নির্দেশে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন পরিদর্শন করেন চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের একটি টিম। তারা ঢাকায় মশক নিধন কার্যক্রমের সঙ্গে চসিকের তুলনামূলক পার্থক্য চিহ্নিত করে মেয়রকে একটি প্রতিবেদনও জমা দেন।

অন্যদিকে, চবির একটি গবেষক দল নগর ও চবির ৯৯টি স্থান পরিদর্শন করে ৫৭টি স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ৩৩ স্থানে এডিস, ৩৯ স্থানে এনোফিলিস ও ২২ স্থানে এডিস ও এনোফিলিস দুটোই পাওয়া গেছে। তাছাড়া ১৫ স্থানে শতভাগ এডিস ও দুই স্থানে শতভাগ এনোফিলিস পাওয়া যায় মর্মে চসিককে একটি জরিপ প্রতিবেদন দেয়।

চসিকের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, গত বুধবার থেকে চসিক নতুন করে মশকনিধন কর্মসূচি শুরু করেছে। প্রতিদিন সকাল-বিকাল মশকনিধনে ¯ন্ডেপ্র করা হয়। তবুও মশার উপদ্রপ কমছে না। তবে গবেষণার প্রতিবেদন অনুসারে ওষুধ ব্যবহারের প্রক্রিয়া চলছে। চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে লিকুইড এডাল্টিসাইট (ল্যামডাসাইহ্যালোথিন ও ডেল্টামেথ্রিন) পিএইচপি ৬৯৯ এবং এমফস ২০ ইসি (ক্লোরপাইরিফস) নামে লার্ভিসাইড মজুদ আছে। এগুলো আগে কেনা হয়েছিল।  ইতিমধ্যে চবির গবেষণায় দুটি ওষুধই ‘অকার্যকর’ বলে প্রমাণিত। তবুও কীটনাশক দুটি ব্যবহার করছে চসিক। বিশেষ করে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী ‘এডিস’ ও ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী ‘এনোফিলিস’ মশা বেড়েছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর