শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের দুর্বিষহ থাবা ছিল আঁতকে ওঠার মতো। তবে আবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। বিজ্ঞানীরা নতুন ধরনটি ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশি পুনঃসংক্রমণ ঘটাতে পারার শঙ্কা প্রকাশ করায় আতঙ্ক কিছুটা বাড়াচ্ছে। যদিও ওমিক্রন মোকাবিলায় চট্টগ্রাম প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতিমধ্যে করোনার প্রকোপ কমায় প্রধান দুই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের পরিসর ছোট করা হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজন অনুসারে ফের প্রস্তুত করা যাবে বলে জানা যায়।

জানা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং দেশের অন্যতম প্রধান সমুদ্রবন্দরে। বিমানবন্দরে বিশেষভাবে জোরদার করা হয়েছে স্ক্রিনিং ব্যবস্থা। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন দেখা দেওয়ার পর থেকেই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে সতর্কাবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে কেউ এলে তাদের প্রয়োজন অনুসারে সাত থেকে ১৪ দিন নিজস্ব খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর পরই চিকিৎসকের অনুমতি সাপেক্ষে বাড়ি যেতে পারবেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ওমিক্রনের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে জেনারেল হাসপাতালকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। হাসপাতালে আছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। তা ছাড়া এখানে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন উপকরণ। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা প্রকোপ শুরুর পরপরই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণা করা হয়। দুই বছর ধরে এটি করোনা চিকিৎসায় আশার আলো ছড়িয়েছে চট্টগ্রামে।

 অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রস্তুত করা হয় ১০ শয্যার আইসিইউসহ ২৮০ শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টার। তা ছাড়া বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালও করোনা চিকিৎসায় অসামান্য ভূমিকা রাখে।

সর্বশেষ খবর