সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
নীলফামারীতে অস্ত্র-বোমা উদ্ধার

ছয় জঙ্গির বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে জঙ্গির বাড়ি থেকে বোমা-অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ছয় জঙ্গির নাম উল্লেখ করে গতকাল সদর থানায় মামলা হয়েছে। সন্ত্রাস দমন আইনে ওই মামলাটি করেন র‌্যাব-১৩ রংপুরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আবদুল কাদের।

এর আগে গত শনিবার সকাল পর্যন্ত নীলফামারী সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির পাঁচ সদস্যকে আটক করে র‌্যাব। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকাল ১০টার দিকে জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের পুঠিহারি মাঝাপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম শরীফের (৩৪) বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব ও আইনশৃক্সক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ওই বাড়ি থেকে তারা একটি শক্তিশালী বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ রাসায়নিক দ্রব্য, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। পরে র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ফাঁকা স্থানে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটায়।

শরীফ র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এরপর গতকাল সকালে পলাতক সোনারায় ইউনিয়নের পুঠিহারী মাঝাপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফকে প্রধান আসামি করে আটক পাঁচজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে ছয়জনের নামে মামলা হয়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন সোনারায় ইউনিয়নের তেলিপাড়া উত্তর মুশরত কুখাপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের দুই ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩০) ও অহিদুল ইসলাম (২৮), সংগলশী ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের তছলিম উদ্দিনের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে সুজা (২৬), চড়াইখোলা ইউনিয়নের বন্দর চড়াইখোলা গ্রামের অজোউদ্দিনের ছেলে ওয়াহেদ আলী (২৮) ও সোনারায় ইউনিয়নের ভবানীমোড় এলাকার রজব আলীর ছেলে ও তেলিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম নূর আমিন (৩৫)।

র‌্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা জেএমবির সামরিক শাখার সক্রিয় সদস্য। তারা বোমা তৈরিতে সক্ষম এবং তৈরিও করেছিল। প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রউপ বলেন, গ্রেফতার হওয়াদের বিকালে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর