শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আইন বিএনপির গতিতে চলবে না : আইনমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমন প্রসঙ্গে বলেছেন, আইন আইনের গতিতে চলবে, জিয়াউর রহমানের গতিতে চলবে না, বিএনপির গতিতে চলবে না। আইনের বইয়ে আইন যেভাবে চলে, সেভাবে চলবে। গতকাল সকালে আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে অসহায়, দুস্থ, শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, মানবিক কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন বলছে বিদেশে যেতে দিতে হবে, না হলে আন্দোলন। একটা কথা আছে না, দাঁড়াতে দিলে বসতে চায়, বসতে দিলে শুতে চায় আর শুতে দিলে ঘুমাতে চায়। বিএনপির হয়েছে সেই অবস্থা। মনে রাখবেন, মানবিকতা আন্দোলনের মাধ্যমে কামাই করা যায় না।

আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের সেদিনের সাড়ে ৭ কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা, সমগ্র বাংলাদেশের একমাত্র পরিচিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর পরিবারের ১৭ জনসহ নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এ সত্য কথাটা জানার পরও খালেদা জিয়া মিথ্যা জন্মদিন সাজিয়ে কেক কাটে। তারপরও জননেত্রী শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ায় দুটি শর্তে সাজা স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেন। একটি হচ্ছে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না এবং বাসায় থেকে চিকিৎসা করবেন। কিন্তু আমরা বলিনি তিনি হাসপাতালে যেতে পারবেন না। তিনি তিনবার হাসপাতালে গেছেন। এখন বলছে বিদেশ যেতে দিতে হবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। শেখ হাসিনার  নেতৃত্বে শেখ হাসিনার সেবার সরকার বাংলাদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ পাল্টে দেবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে ঘোষণা দিয়েছেন যার ঘর নেই, তাকে ঘর বানিয়ে দেবেন। যাদের ঘর নেই, তাদের জমিও লাগবে না। খাস জমি লিখে দিয়ে তাদের ঘর বানিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং এটা করে  দেওয়া হবে।

জননেত্রী শেখ হাসিনা ১ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছেন যাতে কেউ চাকরিচ্যুত না হয়, কারও কর্মস্থল যাতে বন্ধ না হয়ে যায়। তিনি বলেন, যত দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনগণকে সেবা দেবেন ততদিন বাংলাদেশের মানুষের কোনো চিন্তা নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা করোনাভাইরাস পার করেছি, আমরা আবার এ দেশের উন্নয়নের চাকা ঘোরাতে শুরু করে দেব। করোনাভাইরাসের জন্য যে উন্নয়ন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এখন সে কাজগুলো শুরু হবে। করোনাভাইরাস এখনো যায়নি মন্তব্য করে তিনি সবাইকে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া এবং মাস্ক পরার পরামর্শ দেন।

পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল্লা ভূইয়া বাদল, সাধারণ সম্পাদক কাজী লিটন খাদেম, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর