বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
কুমিল্লায় কাউন্সিলর খুন

বেশির ভাগ অস্ত্র আনেন রিশাত তদন্ত চলছে টাকার উৎসের

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহা হত্যাকান্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন হিট স্কোয়াডে থাকা মো. নাজিম ওরফে পিচ্চি নাজিম (৩০) ও মো. রিশাত ওরফে নিশাত (২৫)। এজাহারবহির্ভূত এই দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছেন এই দুজন। সূত্রে জানা যায়, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বেশির ভাগ অস্ত্র এনেছেন রিশাত। তদন্ত চলছে অস্ত্র কেনার টাকার উৎসের।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বেশির ভাগ অস্ত্র এনেছেন রিশাত। তিনি শাহ আলমের পূর্বপরিচিত। এখন এই অস্ত্র কেনার টাকা কীভাবে এসেছে, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আমরা সেগুলো যাছাই করে দেখছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’

 

এদিকে ৬ ডিসেম্বর মামলার চার আসামি আশিকুর রহমান ওরফে রকি, মো. আলম, জিসান মিয়া ও মাসুমের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত। সোমবার সকালে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারাও জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মঞ্জুর কাদের ভূঁঁইয়া।

উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর নগরীর পাথরিয়াপাড়ায় কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা। জোড়া খুনের ঘটনায় ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বুধবার পর্যন্ত এ মামলায় এজাহারনামীয় সাতজন ও সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। বন্দুকযুদ্ধে এজাহারনামীয় তিন আসামি মারা যান। পলাতক রয়েছেন ১১ নম্বর আসামি রনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর