শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মহান বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন, ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে গত দুই দিন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল রাজধানী। বিশেষ করে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা, সাভার স্মৃতিসৌধ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর, বঙ্গভবন, গণভবন ও আশপাশের এলাকায় চার স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর করা হয়। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পুলিশের টহল ও তল্লাশি ছিল চোখে পড়ার মতো। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছিল পুলিশের সতর্ক পাহারা। এ ছাড়া বিভিন্ন উঁচু ভবনে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন ছিল। বিশেষ করে গুলশান বনানীর কূটনৈতিক পাড়ায় প্রতিটি পয়েন্টে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়। সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তার প্রশ্নে কাউকে ছাড় নয় এ বিষয়টিকে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি। চার স্তরের নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করে পুলিশ। আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিয়মিত পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি বিশেষ টিম সোয়াত ও বোম ডিসপোজাল ইউনিটসহ বিভিন্ন ইউনিট সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।  ডিএমপির একজন কর্মকর্তা জানান, সংসদ ভবনের আশপাশের এলাকার প্রতিটি ভবনে পোশাকে ও সাদা পোশাকে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন।

 ডিএমপির পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি মাঠে ছিল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, এসএসএফ ও পিজিআর। পাশাপাশি প্রতিটি ভেন্যুতে আগে থেকে এসএসএফ, এসবি, র‌্যাব ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিট সুইপিং করে। সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে গোয়েন্দারা। গতকাল ছুটির দিন হলেও ভিভিআইপি ও ভিআইপি অতিথিরা কিছু সড়ক ব্যবহারের কারণে নগরবাসীকে কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হয়। কিছু সড়কে ডাইভারশেন দেওয়া হয়।

রাজধানী ছাড়াও বাইরের পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল। নিরাপত্তা টহল ও তল্লাশি জোরদার করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্যরাও নিরাপত্তা চৌকিতে তল্লাশি ও টহল কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর