ঠাকুরগাঁও জেলায় হতদরিদ্র ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপ। কালের কণ্ঠ শুভসংঘ জেলা শাখা ২ হাজার কম্বল বিতরণ করেছে। গতকাল দিনব্যাপী ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, শিবগঞ্জ রেল স্টেশন, পীরগঞ্জ পৌরসভা, রাণীশংকৈল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বড় বালিয়ায় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মাঝে এই কম্বল বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান, শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোর জেলা প্রতিনিধি আবদুল লতিফ লিটু, কালের কণ্ঠ জেলা প্রতিনিধি পার্থ সারথী দাস, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্য আমিনুল ইসলাম, মীর সানোয়ার হোসেন, রাশেদুল আলম লিটন, তাপস কুমার দেব, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাকবীর হোসাইন মান্না, শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, শাহ মো. হাসিবুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম রাফিন, শাহিন শেখ, ওয়াসিম আকরাম, মো. আসাদুজ্জামান, মোছা. তানজিলা আক্তার মিম, তাম্মী শাহরিন দিশা, রিফাত রেজওয়ান সামিন, আকরামুন হোসেন মিলা, মেহেরাব হোসেন, আর্নিকা জাহান ইস্মিতা, জিনিয়া ফাত্তাহ, মালিহা মনজুর মৌমি, তামিম আরা পায়েল, স্নেহা রায়, মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ, মো. তানভীর ইসলাম, মো. লিয়ন রানা, এস এম ইসফার, মো. ওয়াসিফ আল মাহী, মো. তানভীর আনজুম হিমেল, মো. মাফি উজ জামান মৃদুল, কারিজ রহমান, এনামুল হক চৌধুরী, ওয়াজিহ তাওসিফ চৌধুরী, মুসা রাখাল, মীর ছানাউর হোসেন ছানু, রাশেদুল ইসলাম লিটন, তাপস দেবনাথ প্রমুখ।
কম্বল পেয়ে ৭১-এর শহীদ পরিবারের ৮০ বছরের রসমনি বলেন, ‘হামরা ৭১ যুদ্ধত সবাইকে মারে ফেলছে, অনেক কষ্টে দিন পার করছি, কেউ কিছু দেয় নাই, এইবার হামক কম্বল দিছে বসুন্ধরা।’
এ সময় শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় ও শুভসংঘের তত্ত্বাবধানে এই কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। এর আগে করোনায় আমরা ঠাকুরগাঁওয়ে খাদ্য বিতরণ করেছিলাম। এবার শীতে শীতবস্ত্র কম্বল দিচ্ছি। সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় এমন উদ্যোগ আমাদের অব্যাহত থাকবে।ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান বলেন, এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানরা এভাবে সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে সমাজে আর কেউ অবহেলিত থাকবে না। বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য।
এই শীতত কম্বলটা পায়া খুব ভালো লাগিছে : উত্তরের জেলা দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে অসহায় ও দুস্থ মানুষের কষ্টও। এমন সময়ে দিনাজপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় কষ্ট নিবারণে কম্বল পেয়ে খুশি হতদরিদ্ররা। এমনটাই বললেন ৭০ বছরের কুমুদিনীসহ অনেকে।
এ সময় সুইহারী খালপারা থেকে আসা কুমুদিনী আরও বলেন, ‘এই শীতত মোর কম্বলটা পায়া খুব ভালো লাগিছে। বসুন্ধরার মালিক ডেল্লাদিন বাঁচে থাকুক।’ শহরতলির ছোট গুড়গোলার শাহিন, কালাম, মিনা বেগম, উপশহরের সহিদাসহ কয়েকজন একই কথা বললেন।
গতকাল বিকাল ৩টায় দিনাজপুর একাডেমি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ দিনাজপুর জেলা শাখার আয়োজনে এবং বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় অসহায় হতদরিদ্রদের মধ্যে ৩০০ কম্বল বিতরণকালে হতদরিদ্ররা এসব কথা বলেন। দিনাজপুরে শুক্র ও শনিবার মোট ২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। কম্বল বিতরণকালে বক্তৃতা করেন দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শরিফুল ইসলাম, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক জাকারিয়া জামান। জেলা শুভসংঘের সভাপতি মো. রাসেলের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত মজুমদার ডলার, দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওয়াহিদুল আলম আর্টিস্ট, সাধারণ সম্পাদক শাহিন হোসেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি রিয়াজুল ইসলাম, নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি ফখরুল হাসান পলাশ, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি এমদাদুল হক মিলন, জেলা সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাকবীর হোসাইন মান্না, শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন প্রমুখ। আজ শনিবার দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জসহ সব উপজেলায় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হবে।
