শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিবাহিত হওয়া কি অপরাধ

প্রশ্ন ঢাবির আবাসিক ছাত্রীদের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

বিবাহিত হওয়া অপরাধ কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীরা। কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে থাকতে পারবেন না- এমন নিয়মের সমালোচনা করে প্রশাসনের দিকে এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে আবাসিক হলে থাকার এ ধরনের নিয়ম বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রীরা। গতকাল দুপুরে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের পাঁচটি হলের শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শামসুন্নাহার হল সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাগুফতা বুশরা মিশমা, সুফিয়া কামাল হল সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরা শারমিন ও পাঠকক্ষ সম্পাদক অর্পিতা শ্যামা দেব, রোকেয়া হলের রাইয়ান বিনতে ইমতিয়াজ প্রমুখ। 

লিখিত বক্তব্যে ইমি বলেন, বিবাহিত হওয়া কি অপরাধ? বিবাহিতদের হলে থাকতে না দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা বা কারণ তাদের কাছে নেই। একজন ছাত্রী বিবাহিত না অবিবাহিত সেটা দেখে হলে আসন কেন বরাদ্দ হবে, যেখানে তিনি মেধা অনুযায়ী আইনগতভাবে আসন পান? তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ঢাবিতে ভর্তি হওয়া একজন ছাত্র বা ছাত্রীর অধিকার হলে আসন পাওয়া।’

শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি বলেন, করোনাকালে শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে গেছে। তারা কোথায় যাবে এখন? এত খরচ কোথা থেকে বহন করবেন ছাত্রীরা? একজন ছাত্রী বিবাহিত হয়ে হলে থাকা যদি অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে হলের হাউসটিউটর এবং প্রভোস্টদেরও অবিবাহিত হতে হবে। বিবাহিত হলে তাঁরা হাউসটিউটর কোয়ার্টারে থাকতে পারবেন না। তাঁদের স্বামী কি দায়িত্ব নিতে পারেন না? প্রশাসন হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কোনো কথাই শুনতে চাইছে না অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া ছাত্রলীগের হল কমিটির নেতারা এখনো হলে থাকেন। এসব দ্বিচারিতা করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি আর সহ্য করা হবে না। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব আমরা।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে ছাত্রীদের পক্ষ থেকে চারটি দাবি তুলে ধরেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকার বিধিনিষেধ বাতিল করা, শিক্ষার্থীদের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মর্যাদা রক্ষার্থে সব ছাত্রী হলে স্থানীয় অভিভাবকের পরিবর্তে জরুরি যোগাযোগ শব্দটি ব্যবহার, আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাধ্যমে যে কোনো ধরনের হয়রানি এবং অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা সাপেক্ষে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল এবং জরুরি প্রয়োজনে তাদের হলে অবস্থান করতে দেওয়া প্রভৃতি।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর