রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ওমিক্রনের কারণে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে অনিশ্চয়তা

আফজাল, টঙ্গী (গাজীপুর)

রাজধানীর সন্নিকটে কহর দরিয়াখ্যাত টঙ্গী তুরাগ নদের তীরে আসছে জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে কি-না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। কভিড-১৯-এর পর নতুন করে ওমিক্রন ভাইরাস আঘাত হানার আশঙ্কায় এ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের গত জানুয়ারি ও ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা যায়নি।

আয়োজক কমিটি সাদ অনুসারী হাজী মনির বলেন, এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় আমরা অনেকটাই আশাবাদী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। আশা করি অনুমতি পেয়ে যাব। ঢাকা জেলার তিন দিনব্যাপী (২৪-২৬ ডিসেম্বর) ইজতেমা ডেমরায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিশ্ব ইজতেমার তারিখের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আশা করি একটু পরে হলেও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। যোবায়ের অনুসারী আয়োজক কমিটির এক মুরব্বি ডা. কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, গতবার ইজতেমা হয়নি; কিন্তু আল্লাহর মেহেরবানী জামাত কম বের হয়নি। যদি এবার ইজতেমা হয় তাইলে ভালো, না হলেও কোনো ক্ষতি নেই। যেহেতু ওমিক্রন আসছে, আমরা সব সময় সরকারের সঙ্গে পরামর্শ ও সমন্বয় করে কাজটা করি। যদি সরকার মনে করে, এ মুহূর্তে ইজতেমা হলে ক্ষতিকর তাহলে আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। তবে ইজতেমা হওয়ার ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় এক মুসল্লি মুফতি কামাল উদ্দিন জাহানপুরি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তাই এবারের ইজতেমা চালু করা  উচিত। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী জোনের ডিসি (অপরাধ দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, ইজতেমা হবে কি হবে না। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ইজতেমা হবে কি-না, এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এতো বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান এটা বাস্তবায়নে আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা থাকবে।

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ১৬০ একর জায়গা বিস্তৃত ইজতেমা ময়দান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে  তাবলীগ জামাতের লাখ লাখ মুসল্লি এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন প্রতিবছর। টঙ্গী ইজতেমা হলো তাবলীগ কাজের জন্য উপলক্ষ। উদ্দেশ্য হলো এখানে তাবলীগের সাথীরা একত্র হয়ে বিভিন্ন জায়গায় দীনের জন্য সময় লাগানোর জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে পড়েন। আর ময়দানে নতুন মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে মুরব্বীরা বয়ানে দীনের মেহনতের গুরুত্ব বুঝান এবং মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকার বিষয়ে কথা বলেন। এছাড়া ইবাদত ও হালাল কামাই সম্পর্কে বুঝানো হয়। কীভাবে লেনদেন হবে, কীভাবে জীবন চলবে- এসব সম্পর্কেও ইজতেমায় বয়ান করা হয়। ধনী গরিব ছোট বড় সব বয়সী মানুষ শরিক হন এই ইজতেমায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর