বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ফুলেল শ্রদ্ধায় একাত্তরের শব্দসৈনিক মুশতারী শফীকে বিদায়

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

ফুলেল শ্রদ্ধায় একাত্তরের শব্দসৈনিক মুশতারী শফীকে বিদায়

বরেণ্য সাহিত্যিক বেগম মুশতারী শফীর লাশ গতকাল রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন সংগঠন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন একাত্তরের শব্দসৈনিক ও স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফী। গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানায় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে মুশতারী শফীকে শেষ শ্রদ্ধা জানায় সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ ৭১ কেন্দ্রীয় কমিটি, উদীচী শিল্পাগোষ্ঠী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাসদ (মার্কসবাদী), গণতন্ত্রী পার্টি, গণসংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, গেরিলা ১৯৭১, গীতাঞ্জলি, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, রক্তধারা ৭১, গৌরব ৭১, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সংগঠন। ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লাশ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন স্বজনরা। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে লাশ। সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও গার্ড অব অনার প্রদানের পর চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে জানাজা শেষে চৈতন্য গলির কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।

রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২০ ডিসেম্বর বিকালে মৃত্যুবরণ করেন বেগম মুশতারী শফী। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র বাসায় রাখায় ১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল তার স্বামী ডা. মোহাম্মদ শফী এবং মুশতারীর ভাই এহসানুল হক আনসারীকে স্থানীয় রাজাকাররা ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। এরপর ভারতে গিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দ  সৈনিক হিসেবে কাজ করেন মুশতারী শফী। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি দেশে ফেরেন। মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য ২০১৬ সালে মুশতারী শফীকে ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি। ২০২০ সালে তিনি বেগম রোকেয়া পদক পান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর