শিরোনাম
শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে ভোটের মাঠে উত্তাপ

চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচন

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চতুর্থ ধাপে চট্টগ্রামে ইউপি নির্বাচনে প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও সমর্থকদের পক্ষে-বিপক্ষে দখল-বেদখল, পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়া, বহিরাগতদের আনাগোনাসহ নানা ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শনে সংঘাত এবং সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে। এসব নিয়ে প্রতি মুহূর্তই চলছে প্রার্থীদের মাঝে নানা ধরনের আতঙ্ক। যতই ভোট ঘনিয়ে আসছে, ততই এসব উত্তাপ বেড়ে চলছে। ভোটের আগেই এসব উত্তাপে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে এক ধরনের শঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে চট্টগ্রামের তিন উপজেলার মধ্যে বেশি আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলায়। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ভোট হবে ২৬ ডিসেম্বর। চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া, কর্ণফুলী ও লোহাগাড়া উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে। গতকাল রাত থেকে বন্ধ হয়ে গেছে প্রচার-প্রচারণা। চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের তিন উপজেলায় ২৭টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। কোনো ধরনের অনিয়ম ও অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় কয়েকজন সাধারণ ভোটার পটিয়ার ৮ ইউনিয়নে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন। এখানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী, বিদ্রোহী ও বিএনপি ঘরনার প্রার্থীর মধ্যে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। কুসুমপুরা, কাশিয়াইশ, ছনহরা, কচুয়াই, জিরি, হাইদগাঁও, জঙ্গলখাইন ও কোলাগাঁও ইউনিয়নে উভয় প্রার্থীর মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ ও স্থানীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। কাশিয়াইশ ছাড়াও কুসুমপুরা, কেলিশহর, ছনহরা, কচুয়াই ইউনিয়নে সংঘাত-সংঘর্ষ ও ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছনহরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঘরনার প্রার্থীর মধ্যে ভোট ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা বেশি ঘটেছে। পটিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থীদের মধ্যেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে তিন ইউনিয়নে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। ফলে চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে বাকি ১৪টি ইউনিয়নে। কর্ণফুলী উপজেলার চার ইউনিয়নে নির্বাচন হবে। এরমধ্যে একটি ইউনিয়নে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। বাকি তিন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে আছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। এরমধ্যে চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল ও কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগও করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। একই অভিযোগ অন্য দুটি ইউনিয়নেও।

লোহাগাড়া উপজেলায় ৬ ইউনিয়নের মধ্যে বড়হাতিয়া ও পুটিবিলা ইউনিয়নে বিনাভোটে চেয়ারম্যান হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। বাকি চার ইউনিয়ন পদুয়া, চরম্বা, কলাউজান ও চুনতি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।

 এখানে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ ততই বাড়ছে। হবে নৌকা ও আনারস প্রতীকের মধ্যে ভোটযুদ্ধ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর