চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানা এলাকায় চলছে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি। পাহাড়ঘেরা বায়েজিদে খালি কিংবা পরিত্যক্ত জায়গা পেলেই লোলুপ দৃষ্টি পড়ে সন্ত্রাসীদের। ওই জায়গায় রাতারাতি তৈরি করা হয় টিনের তৈরি কিংবা কাঁচা ঘর। এরপর জায়গা ‘খালি’র নামে শুরু হয় চাঁদাবাজি। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের গ্রেফতারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিএমপির বায়েজিদ থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘অন্যের ভূমি দখল করে এমন চক্রের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং সরকারি কিছু জায়গা দখল হয় এমন কথা লোকজনে বলে। কিন্তু কেউ অভিযোগ করে না বলে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর অপরাধীদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত বায়েজিদে চলছে ‘জায়গা খালি’র নামে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি। কয়েকটি সন্ত্রাসী চক্র সরকারদলীয় নেতা কিন্তু রাজনীতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জমি দখল ও চাঁদাবাজিতেই মেতেছে। বায়েজিদ থানা এলাকার আরেফিননগর, আলীনগর, জঙ্গল ছলিমপুর, বাংলাবাজার, নাগিন পাহাড়, বায়েজিদ লিংরোডসহ বেশ কিছু এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এ চাঁদাবাজি। এ চক্রগুলো খালি জায়গা দখল করে তাতেই রাতারাতি তৈরি করছে টিনের কিংবা কাঁচা ঘর। ঘর তৈরি শেষ হওয়ার পর তাদের শুরু হয় চাঁদাবাজি।বায়েজিদ এলাকার একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বায়েজিদ এলাকায় সরকারি কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন কোনো জায়গাই খালি থাকতে পারে না। খালি জায়গা পেলেই এ চক্রের সদস্যরা টিনের কিংবা কাঁচা ঘর গড়ে তোলে। এরপর আদায় করা হয় টাকা। ব্যক্তি মালিকানাধীন যেসব জায়গা দখল হয় তা টাকার মাধ্যমে রফাদফা করা হয়।’