শনিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

চসিক ২৯ উন্মুক্ত স্থানে করবে বিনোদন কেন্দ্র

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের উন্মুক্ত স্থানগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে নগরের পুকুর-জলাশয়, খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থানসহ ২৯টি স্থানে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হবে। ইতোমধ্যেই উন্মুক্ত স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বাছাই শেষে মেয়রের অনুমোদনের পর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন মিললে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করা হবে।

চসিকের পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নগরের উন্মুক্ত স্থান রক্ষায় উদ্যোগ নিলে প্রথম ধাপে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় নগরের উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠ ও পুকুর-জলাশয় চিহ্নিত করতে জরিপ করা হয়। পরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এতে অংশ নেন। দুই দফায় নগরের ২৫টি স্থান নির্ধারণ করা হয়।  গত সপ্তাহে তালিকাটি যাচাই করে আরও চারটি স্থান যোগ করে মোট ২৯টি স্থানে বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাছাই করা স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে জোর ডেবা, ভেলুয়ার দিঘি, আগ্রাবাদ ডেবা, হালিশহর এ ব্লক মাঠ, বহুরূপী ক্লাব মাঠ, এস ক্লাব মাঠ, ষোলশহর ফরেস্ট মাঠ, শেখ রাসেল পার্ক, শাহজাহান মাঠ, এ ক্লাব মাঠ, সিডিএ মাঠ, দেওয়ানহাট ব্রিজের নিচে এবং বহদ্দারবাড়ি পুকুর ও মসজিদ। চসিকের নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর বলেন, ‘প্রথমে দুই দফা জরিপের মাধ্যমে ২৫টি উন্মুক্ত স্থান শনাক্ত করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে আরও চারটি যোগ করে ২৯টি স্থান নির্ধারণ করা হয়। চলতি সপ্তাহে এসব স্থান আরও যাচাই করে মেয়রের অনুমোদন নেওয়া হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অনুমোদনের পরই মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাছাই করা স্থানগুলোর মধ্যে চসিক ছাড়া বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যক্তিরও আছে। তবে বিনোদন কেন্দ্র তৈরির জন্য সবাই ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। এগুলো উন্মুক্ত পাবলিক স্পেস হবে। ফলে জায়গা নিয়ে কোনো জটিলতা হবে না।’   

চসিক সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার আইন (সিটি করপোরেশন) ২০০৯-এ বলা আছে, করপোরেশন নগরের মধ্যে সর্বসাধারণের সুবিধা ও চিত্তবিনোদনের জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ উদ্যান নির্মাণ ও তা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে, যা প্রবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। আইনে বলা আছে, প্রত্যেক সাধারণ উদ্যানের উন্নয়নের জন্য করপোরেশন উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে। এ ছাড়া করপোরেশন নগরের মধ্যে সর্বসাধারণের সুবিধার্থে খোলা জায়গার ব্যবস্থা করবে এবং সেটাকে তৃণাচ্ছাদিত করা, ঘেরাও দেওয়া এবং মানোন্নয়ন করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এরই আলোকে চসিক এ উদ্যোগ গ্রহণ করে। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর