সোমবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজশাহীর পদ্মা পাড়ে বসুন্ধরার শীতবস্ত্র বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর পদ্মা পাড়ে বসুন্ধরার শীতবস্ত্র বিতরণ

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর পিরিজপুর এলাকার পদ্মা পাড়ে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে গতকাল সকালে অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে ও কালের কণ্ঠ শুভসংঘের আয়োজনে এ বিতরণ কার্যক্রম চালানো হয়। এ সময় শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল পেয়ে বৃদ্ধা সেফালি বেওয়া বলছিলেন, ‘পদ্মা নদীর ধারে আমার ছাপড়া টিনের বাড়ি। হাড়কাঁপা জাড়ে রাইতে ঠিকমতোন ঘুমাতে পারতেছিনু ন্যা। এহন কষ্ট গেল, মা-বিটি আরামে ঘুমাতে পাইরমো। বসুন্ধরার কম্বলডা জাড়ের হাদ থ্যাকি বাঁচালো। এতো দিন আমারগর দিকে কেউ তাকাইনি। আজ একটা কম্বল পায়েছি, এখন আর শীতে কষ্ট হবি না।’ সেফালি বেওয়ার বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর নদীর পাড় এলাকায়। শুধু সেফালি বেওয়াই নয়, বসুন্ধরার কম্বল পেয়েছেন এ রকম অসহায় ৫০০ শীতার্ত মানুষ। যাদের সবাই উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে গত দুই দিন ধরে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে শীতে নিদারুণ দুর্ভোগে ছিলেন। এই অসহায় মানুষগুলোর ভিতর ষাটোর্ধ্ব হজরত আলী বলেন, ‘ভাঙা কপালে এই সর্বনাশা পদ্মায় হারায়ছি বাড়ি-ঘর। কোনো মতে একটা খেড়ের ঘরে কাটে জীবন। শীতে ঘরের মধ্যেও ঠান্ডা বাতাস ঢুইকে পড়ে। খুব কষ্ট হয়। কিন্তু এতো দিন আমার মতো এই গরিব মানুষের কেউ খোঁজ নেয়নি। বসুন্ধরার একটা কম্বল পাইয়েছি। এখন রাতে ভালো ঘুমাইতে পারমো।’ প্রায় নব্বই বছর বয়স্ক রহিমা বেগম বলেন, ‘ঘরে পঙ্গু স্বামী। সেও জাড়ে কাঁপে। এখন এই কম্বলডা আমারগে বাঁচাইবে।’ কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাবিয়ার রহমান, শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, সমাজসেবক শফিউল ইসলাম মুক্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জানান, করোনাকালে খাদ্যসহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। এখন শীতেও দরিদ্র মানুষগুলোর পাশে উপহার নিয়ে হাজির হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের নির্দেশনায় দেশজুড়ে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর