বুধবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

জটিলতা কাটল সিলেট বিমানবন্দর-কুমারগাঁও চার লেন সড়কের

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

অবশেষে জটিলতা কাটল সিলেট বিমানবন্দর-বাদাঘাট-কুমারগাঁও চার লেন সড়কের। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ওই সড়ককে জাতীয় মহাসড়ক মানে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৭ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। একনেকের সভা শেষে প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। এদিকে, সিলেটের সড়কের এ প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ায় এখন সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কাজ শুরু করবে। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। জানা গেছে, সিলেটের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটি বর্তমানে দুই লেনের। প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে কুমারগাঁও-বাদাঘাট-বিমানবন্দর সড়কটি নির্মাণ করা হয় ২০১২-১৪ অর্থবছরে। পরবর্তীতে পাথরবাহী ট্রাক চলাচল, বিমানবন্দর অভিমুখীদের সুবিধা এবং পর্যটকবাহী যান চলাচলের জন্য সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার দাবি ওঠে সিলেটে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। পরের বছর চার লেন সড়কের সঙ্গে দুটি সার্ভিস লেন যুক্ত করে তৈরি করা হয় সংশোধিত প্রস্তাবনা। ২০১৯ সালের দিকে শুধু চার লেনের প্রস্তাবনা জমা পড়ে মন্ত্রণালয়ে।

কিন্তু কাজের কাজ আর কিছুই হচ্ছিল না। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সর্বশেষ মেয়াদে সরকার গঠনের পর সিলেট-১ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে গতি আনার চেষ্টা করেন।

২০২০ সালের ৮ আগস্ট সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল সড়কটি পরিদর্শন করে যায়। নকশার ত্রুটি সারিয়ে ছয় মাসের মধ্যে সড়কটির কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিল প্রতিনিধি দল। এরপর আর কাজ শুরু হয়নি।

একেনেকে পাস হওয়া প্রকল্পে উল্লেখ করা হয়েছে, কুমারগাঁও-বাদাঘাট-বিমানবন্দর সড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা মহাসড়ক। সড়কটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াতে প্রধান ও একমাত্র বিকল্প পথ। একই সঙ্গে সড়কটি সিলেট শহরের যানজট এড়ানোর জন্য বাণিজ্যিক যানবাহনের ডাইভারশন হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। সড়কটি সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ছয় কিলোমিটার কুমারগাঁওয়ে শুরু হয়ে বাদাঘাট দিয়ে অতিবাহিত হয়ে ওসমানী বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর বহনকারী ট্রাকগুলোর সিলেট শহরের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে। এতে নগরীর অন্যতম কেন্দ্রস্থল আম্বরখানা ইন্টারসেকশনে দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়। এতে সময়ের অপচয় ছাড়াও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। সড়কটিকে চার লেনে উন্নীত করা হলে পাথরবোঝাই ট্রাকগুলো সেই সড়ক দিয়ে জাতীয় মহাসড়ক এন-২-তে সহজেই পৌঁছাতে পারবে। এতে সিলেট নগরীর মধ্যে যানজট কমবে, ট্রাকের কারণে ঘটা দুর্ঘটানগুলোও কমে আসবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর