বুধবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

রংপুরে তাপমাত্রা কমছে বাড়ছে শীতবস্ত্র কেনাবেচা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশা। রাত থেকে কুয়াশায় ঢাকা থাকছে প্রকৃতি। গতকাল দুপুর পর্যন্ত সূর্য দেখা যায়নি। শীতের প্রকোপ বাড়ায় গ্রাম-শহর সর্বত্রই ভিড় দেখা যাচ্ছে কাপড়ের দোকানগুলোতে। রংপুর নগরীর সুরভী উদ্যানের সামনে, সিটি করপেরেশনের সামনে, স্টেশন বাজার পুরাতন কাপড়ের মার্কেট, শাহ মো. সালেক মার্কেট, শাহ জামাল মার্কেট, সুরভী উদ্যানের পাশে ফুটপাথের মার্কেট, হনুমানতলা মার্কেটে সবচেয়ে বেশি গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সাতমাথা, মাহিগঞ্জ, চকবাজার, মডার্ন মোড়ে শীতের কাপড়ের অনেকগুলো মার্কেট রয়েছে। নগরীর ফুটপাথগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের মানুষের ভিড় এখন পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে। নগরীর অভিজাত মার্কেটগুলোতে শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। তবে এবার পুরাতন কাপড়ের দাম বেশি বলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন।

 ফুটপাথের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, পুরাতন কাপড়ের দাম মহাজনরা বেশি নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর শীতের সময় মহাজনদের কাছ থেকে গরম কাপড়ের গাইট নিয়ে তা বাজারে বিক্রি করেন তারা। গত বছর বাচ্চাদের যে কাপড় ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল এবার ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়দের যে কাপড় ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় কেনা গেছে, এবার কিনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া কম্বলের দামও বেড়েছে। কোট, জ্যাকেট, সোয়েটার, ট্রাউজার, ওভারকোট, ফুল হাতা গেঞ্জি, কম্বল, মেয়েদের কার্টিগান ও মোজার ক্রেতার সংখ্যা বেশি। সুরভী উদ্যানের পাশে ফুটপাথের ব্যবসায়ী আমিন উদ্দিন জানান, কোনো কোনো গাইটের ভিতর ছেঁড়া-ফাটা কাপড় থাকে, যা মহাজনরা ফেরত নিতে চান না। ফলে লোকসান গুনতে হয়। তাই দাম কিছুটা বেশি। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল রংপুরের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমার শঙ্কা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর