বুধবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

চমেক হাসপাতালে বন্ধ কিডনি ডায়ালাইসিস

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বন্ধ হয়ে গেল কিডনি ডায়ালাইসিস। কাঁচামাল ও সরঞ্জাম না থাকায় গত ২ জানুয়ারি থেকে ডায়ালাইসিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে হাজারো রোগী এখন চরম দুর্ভোগে পড়বেন। ডায়ালাইসিস করতে এসে ফেরত যেতে হবে ভুক্তভোগী রোগীদের। জানা যায়, চমেক হাসপাতালের নিচ তলায় ২০১৭ সালের ৫ মার্চ ৩১ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার চালু করা হয়। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর মেডিকেইডস (প্রা.) লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি মতে, প্রতিটি ডায়ালাইসিসে রোগী ৪০০ টাকা এবং সরকার দেবে ১ হাজার ৭৯০ টাকা। তবে জানা যায়, সরকার চুক্তির অধীন অনেক টাকা বাকি রেখে দেয়।

 ফলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দেয়। গত রবিবার থেকে তা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেবা বন্ধের নোটিসে বলা হয়, ‘৫ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকবে ডায়ালাইসিস। সে অনুযায়ী রোগীদের বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

চমেকের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, ‘গরিব অসহায় রোগীদের এখানে ডায়ালাইসিস করা হয়। গত দুই বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। তহবিল সংকট ও কাঁচামালের অভাবে এ জরুরি সেবা কোনোভাবেই চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নোটিস দিয়ে রোগীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চলছে।’

পিপিপির কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট জাকারিয়া পলাশ বলেন, ডায়ালাইসিস বন্ধের বিষয়টি নিয়ে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে পিপিপির একটা বৈঠক হয়েছে। আশা করি, এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে এবং সমস্যা সমাধান করে ডায়ালাইসিস আবারও চালু করা হবে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, ডায়ালাইসিস রোগীরা সময়মতো চিকিৎসা না পেলে রক্তস্বল্পতা, শ্বাসকষ্ট ও শরীর ফুলে গিয়ে মৃত্যুও ঘটতে পারে। ডায়ালাইসিস করতে আসা এক রোগীর ছেলে বলেন, ‘মায়ের ডায়ালাইসিস করতে আসলাম, সিরিয়ালও নিয়েছি। এখন শুনতেছি কালকে থেকে ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মায়ের শরীরের অবস্থা ভালো না। যেভাবেই হোক ডায়ালাইসিস করাতে হবে। এখন কী করব বুঝছি না’।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর