শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

শীতে কাবু উত্তর, পথে ভোগান্তি

প্রতিদিন ডেস্ক

শীতে কাবু উত্তর, পথে ভোগান্তি

কুয়াশার চাদরে প্রায় প্রতিদিনই ঢাকা পড়ছে উত্তরের জনপদ। গতকাল সকালে নাটোর থেকে ছবিটি তোলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পৌষের শীতেই জবুথবু অবস্থা মানুষের। দিনভর কনকনে ঠান্ডা বাতাস কাঁপিয়ে তুলছে ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষগুলোকে। খোলা জায়গায় থাকা এই মানুষগুলো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন। একটু উষ্ণতার খোঁজে পথের ধারে খড়কুটো কুড়িয়ে আগুন জ্বেলে ঘিরে বসে থাকছেন। এদিকে ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে এ নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী জানান, গতকাল ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছিল রাজশাহী। এ সময় দৃষ্টিসীমা নেমে আসায় রাজশাহীর সড়ক-মহাসড়কের যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বেলা ১০টার দিকে সূর্যের মুখ দেখা গেছে। পরে ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে গেছে। কিন্তু বিকালে সূর্য পশ্চিমে ঢলতেই আবারও ঘন কুয়াশায় মুড়ে আসছে প্রকৃতি। এতে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিরাও গুটিশুটি হয়ে পড়েছে। শীতে হাসপাতালেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম জানান, ঘন কুয়াশায় কর্ণফুলী নদীতে বন্দর চ্যানেলের পাথরের বাঁধে আটকা পড়েছে ‘ওটি ফজিলত’। ট্যাংকারটিতে যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপো থেকে তেল লোড করা হয়েছিল। গতকাল সকাল ৬টার দিকে ট্যাংকারটি আটকা পড়ে বলে জানান বন্দরের একজন কর্মকর্তা। তিনি জানান, জোয়ারের পানি বাড়লে দুপুরের ট্যাংকারটি নিরাপদ জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

নাটোর প্রতিনিধি জানান, ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা নাটোর। জেলায় তাপমাত্রার পারদ নিচেই নামছে। ক্রমশই বাড়ছে ঠান্ডার দাপট। অনেক জনপদ মুড়ে গেছে কুয়াশার চাদরে। ফলে যানবাহন ও ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। মধ্যরাত থেকে কুয়াশার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। গরম কাপড়েও নিবারণ হচ্ছে না শীত। বিপাকে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। গতকাল ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে নাটোর। সকালে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করেছে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ।

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের হিলিতে গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র শীত অব্যাহত রয়েছে। এর সঙ্গে ঘনকুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। তীব্র শীতের কারণে শ্রমিকরা দেরি করে আসায় হিলি স্থলবন্দরের পণ্য লোড আনলোড কার্যক্রমে বিলম্ব হচ্ছে। এদিকে শীতের কারণে কাজ বেশি করতে না পারায় শ্রমিকদের আয় কমে গেছে। তবে বন্দর দিয়ে দুই দেশের মাঝে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে এ নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ নৌরুটে কুয়াশার তীব্রতা বাড়তে থাকে। কুয়াশার তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেলে দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ৪টার দিকে কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে দুটি ফেরি মাঝ নদীতে আটকা পড়ে। এই হাড় কাঁপানো শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে আটকে পড়া যাত্রী ও শ্রমিকরা। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে পারের অপেক্ষায় শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। কুয়াশার তীব্রতা কমে গেলে ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর গতকাল সকাল ৮টার দিকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর