শনিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

৩০ স্পটে লুট হচ্ছে লোহার কাঁচামাল স্ক্র্যাপ

ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার ক্ষতি

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

ভয়ংকর হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বন্দরের পোর্ট লিং রোডের টোল প্লাজা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের মিরসরাই পর্যন্ত সড়কের ৬০ কিলোমিটার এলাকা। দেশের অর্থনীতির পাইপলাইন খ্যাত চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা এ সড়কটির কমপক্ষে ৩০টি স্পটে লুট হচ্ছে রি-রোলিং মিলের কাঁচামাল স্ক্র্যাপ লোহা। এতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, ‘স্ক্র্যাপ লোহা চুরি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু অভিযান চালানো হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে কয়েকজনকে।’ ইস্পাত ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বন্দর থেকে স্ক্র্যাপ খালাস করে গুদাম কিংবা কারখানায় নেওয়ার পথে নগরীর বন্দর, পাহাড়তলী, হালিশহর, আকবর শাহ এবং জেলার সীতাকুন্ড ও মিরসরাই এলাকায় লুটের ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া সদরঘাট এবং রেলওয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের আওতাভুক্ত কিছু এলাকায়ও স্ক্র্যাপ লুট হয়। প্রতি দিন কোন না কোন স্পটে লুটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে হোতারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে স্ক্র্যাপ খালাস হওয়ার পথে প্রতিনিয়তই ঘটছে লুটের ঘটনা। বন্দরের পোর্ট লিং রোডের টোল প্লাজা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের মিরসরাই পর্যন্ত সড়কে ৬০ কিলোমিটার সড়কের কমপক্ষে ৩০টি স্পটে লুটের ঘটনা ঘটছে। সব চেয়ে বেশি লুটের ঘটনা ঘটে বন্দর থানাধীন পোর্ট লিং রোডের টোল প্লাজা থেকে আকবর শাহ থানার শুকতারা মোড় এলাকা পর্যন্ত লিংক রোডের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায়। এ সড়কে রয়েছে কমপক্ষে ১৩টি স্পট। এর মধ্যে টোল প্লাজা এলাকা, আব্বাসপাড়া, চৌধুরীপাড়া, ফুল চৌধুরীপাড়া, মোহাব্বত আলী উচ্চবিদ্যালয় এলাকা, চট্টগ্রাম পেট্রোল পাম্প, সাহেব বিবির বৈঠকখানা এলাকা, বাইন্যাপাড়া, জালিয়াপাড়া, ফকিরহাট, শুকতারা মোড়, বাইপাস রোড এলাকা অন্যতম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড ও মিরসরাই অংশের কমপক্ষে ১০টি স্পটে লুটের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া নগরীর সদরঘাট, মাঝিরঘাট, রেলওয়ে পুলিশের আওতাভুক্ত ওয়াটার ট্যাঙ্কি, মাদারবাড়ি, কদমতলী, দেওয়ানহাট এবং অলংকার এলাকায়  স্ক্র্যাপ লুটের ঘটনা ঘটে।  কাঁচামাল আমদানিকারকরা জানান, স্ক্র্যাপ রপ্তানিকারকরা বিশেষ সিলগলা করেই বাংলাদেশে চালান পাঠান। তা চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খালাস করা হয়। বন্দর থেকে স্ক্র্যাপ খালাস হওয়ার পর ট্রেইলার ও ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয় কারখানার গুদামে। পথে প্রতি কনটেইনার থেকে ২ থেকে ৩ টন স্ক্র্যাপ লোহা লুট হয় অভিন্ন কায়দায়। একেকজন রি-রোলিং কারখানা মালিকের প্রতি চালানে লুট হয় ৩০ থেকে ৩৫ টন স্ক্র্যাপ লোহা। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর