খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের অধীনে প্রায় ২৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিট নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এই ইউনিটটি নির্মিত হলে এ অঞ্চলের মানুষ বিভাগীয় শহরেই বিশেষায়িত এসব সেবা পাবেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে খুলনাসহ একই সঙ্গে ৮টি বিভাগীয় শহরে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। খুলনা প্রান্তে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফলক উন্মোচন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগের চিকিৎসা সীমিত পরিসরে চালু রয়েছে। এখানে ৪৬০টি শয্যাবিশিষ্ট ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিট চালু হলে পরিপূর্ণভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে। জানা যায়, প্রকল্পে অবকাঠামো নির্মাণ ব্যয় প্রায় ১৭৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা ও মেডিকেল যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। ২০২২ সালে জুন মাসের মধ্যে হাসপাতালটি নির্মাণ কাজ শেষ হবে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, ইউনিটটি চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছুটতে হবে না। একদিকে তাদের চিকিৎসার ব্যয় কমবে, সেই সঙ্গে সময়ও বাঁচবে। জানা যায়, ১৭ তলা ভবনটিতে ১৮০ শয্যা ক্যান্সার ইউনিট থাকবে প্রথম থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত। অষ্টম থেকে ১১ তলা পর্যন্ত ১৬৫ শয্যার কিডনি ইউনিট হবে। এ ছাড়া ১১৫ শয্যা হৃদরোগ ইউনিট হবে ১২ থেকে ১৫ তলায়। এখানে হৃদরোগ চিকিৎসাসেবার জন্য সিসিইউ, আইসিইউ, কার্ডিয়াক ওটি, পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ থাকবে।