শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

প্যারাবন কেটে নদী দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের মহেশখালী-বদরখালী নৌচ্যানেলে প্যারাবন কেটে নদী দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে এ ঘের নির্মাণের কাজ চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, মহেশখালী-বদরখালী চ্যানেলের বদরখালী বাজারের ওয়াপদা রোডের পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন স্লুইস গেটের পশ্চিম পাশে শত শত প্যারাবনের বাইন গাছ কেটে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে খরস্রোতা প্রবহমান নদী দখল করে চলছে ঘের নির্মাণের কাজ। স্থানীয়রা বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির নাম ব্যবহার করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। জানা গেছে, ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের রাতে ২০ থেকে ২৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হয়। ভেঙে যায় বেড়িবাঁধ। এর পর উপকূলীয় এলাকায় বনায়নে এগিয়ে আসে জাপানের একটি এনজিও সংস্থা ওয়াইস্কা ইন্টারন্যাশনাল। এই সংস্থাটি জাপান থেকে শিক্ষার্থী নিয়ে এসে উপকূলে বাইন ও কেওড়া গাছের চারা রোপণ করে। এসব চারা এখন বড় গাছে পরিণত হয়েছে। সে সব চারা গাছ কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রকাশ্যে এসব প্যারাবন নিধন করা হলেও বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদফতর ও স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান বলেন, নদী দখলকারীদের প্রশাসন কোনো সময় ছাড় দেয় না। কেউ যদি নদী দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করে থাকে, শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম উপকূলীয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, এটি বনবিভাগের জায়গা না। খাস জায়গা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলে তিনি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর