শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সন্দেহজনকভাবে নমুনা পরীক্ষা করলেই পজিটিভ হচ্ছে। ফলে দ্রুত গতিতেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণে এই ঊর্ধ্বগতিতে সবার মধ্যে বেড়েছে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কিন্তু চট্টগ্রামের কোথাও কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই না থাকায় শঙ্কা-উৎকণ্ঠা আরও বেড়েছে। স্বাভাবিক নিয়মেই দেদার চলছে সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, বিনোদন কেন্দ্রসহ সর্বত্র। তবে চট্টগ্রাম জেল প্রশাসন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ প্রতিরাধে ছয় দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে গত ১২ জানুয়ারি শনাক্ত হয় ২২২ জন, ১৪ জানুয়ারি ২৯৬ জন, ১৫ জানুয়ারি ২৩৯ জন। কিন্তু দুই দিন পর ১৭ জানুয়ারি শনাক্ত হয় ৭৪২ জন, ১৮ জানুয়ারি পরীক্ষা করা হয় ৩ হাজার ১৯২ জনের, এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয় ৯৮৯ জনের এবং ২০ জানুয়ারি নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩ হাজার ৫৩ জনের, এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ৯৩০ জনের। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ১৫টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।  বিআইটিআইডির ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদিনই করোনার নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ছে, সঙ্গে বাড়ছে শনাক্তের হারও। করোনা সংক্রমণ বেশ নীরবে দ্রুতই বাড়ছে। সন্দেহজনক হয়ে পরীক্ষা করলেই পজিটিভ আসছে। তবে এক্ষেত্রে পজিটিভ হলেও তা করোনার কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছে তা আমরা অবগত নই। কারণ ওমিক্রন পরীক্ষা করার মতো মেশিন আমাদের নেই। তাই কোনো রোগীকে সন্দেহ লাগলে আমরা তার নমুনা ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি।’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন ছয় দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে আছে- দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করা, অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা, রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকতে অবশ্যই করোনার টিকা সনদ প্রদর্শন করা।, ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পর টিকা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া, সব প্রকার যানের চালক ও সহকারীর আবশ্যিকভাবে কভিড-১৯ টিকা সনদ থাকা এবং কভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশসহ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পীযূষ কুমার চৌধুরী বলেন, ওমিক্রন প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এসব বিধিনিষেধ পালনে সবাইকে সচেতন করতে নগরের বিভিন্ন স্থানে হ্যান্ডমাইক দিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর