শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অরক্ষিত ব্যালট পেপারের বস্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নোয়াখালীর চাটখিলের নোয়াখলা ইউনিয়নে কাদেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট পুনঃগণনা ও ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। সাতক্ষীরা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর সময় ব্যালট পেপারের বস্তার মুখ খোলা পেয়ে প্রতিবাদ জানান- সরুলিয়া ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তবে বস্তার মুখ খোলা থাকায় ব্যালট গ্রহণ করেনি আদালত।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক। কিন্তু সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে তাকে গাইবান্ধার গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গতকাল বিকালে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সাতক্ষীরা তালায় নির্বাচন অফিসে ভোটের ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় রাখার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকালে ব্যালট পেপার সাতক্ষীরা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর সময় বস্তার মুখ খোলা পেয়ে প্রতিবাদ জানান সরুলিয়া ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তবে বস্তার মুখ খোলা থাকায় ব্যালট গ্রহণ করেনি আদালত।

জানা যায়, বিগত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনের প্রাপ্ত ভোট নিয়ে আদালতে পুনঃ গণনার আদেশ চেয়ে মামলা করেন সরুলিয়া ইউনিয়নের নিকটতম পরাজিত প্রার্থী আবদুর রব পলাশ (আনারস প্রতীক)। গতকাল সকালে আদালতের নির্দেশে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে সরুলিয়া ইউনিয়নের ব্যালট পেপার ভর্তি ৫টি বস্তা স্টোর রুম থেকে বের করার সময় একটি বস্তার মুখ খোলা ও কিছু ব্যালট পেপার ছড়ানো ছিটানো পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, ব্যালট পেপার ভর্তি মুখ খোলা বস্তা গাড়িতে তোলার অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

নোয়াখালীর চাটখিলের নোয়াখলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাদেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট পুনঃগণনা ও ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার সময় নোয়াখলা কাদেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে পরাজিত বেশ কয়েকজন মেম্বার প্রার্থী জানান, উক্ত ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে নিশ্চিত বিজয়ী প্রার্থীদের নান কৌশলে ভোট কারচুপি করে অন্য প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ভোট গণনার সময় এজেন্টদের একটি কক্ষে আটক করে অন্ধকারের মধ্যে ফলাফল সিট লেখে তিনি তড়িঘড়ি করে কেন্দ্র থেকে বের হয় যান। তারা উক্ত কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনাসহ টাকা খেয়ে এ ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর