সোমবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

সর্বোচ্চ পাঁচজন শ্রদ্ধা জানাতে পারবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

কভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২’ উদযাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ দুজন এবং সংগঠন পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচজন একসঙ্গে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। শহীদ মিনারে আগতদের বাধ্যতামূলক করোনা টিকা সনদ সঙ্গে রাখতে হবে ও মাস্ক পরিধান করতে হবে। অমর একুশে উদ্যাপন উপলক্ষে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক ভার্চুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলসমূহের প্রভোস্ট, বিভাগের চেয়ারম্যানরা, ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা, প্রক্টর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায়, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপনের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আইন অনুষদের ডিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সমন্বয়কারী, সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়াকে যুগ্ম-সমন্বয়কারী এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে সদস্য-সচিব করে অমর একুশে উদ্যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন উপ-কমিটিও গঠন করা হয়।

সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে। তিনি আরও বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত বছরের ন্যায় এ বছরও জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এ ছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণœ রাখার স্বার্থে অমর একুশে উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচি সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

উল্লেখ্য, করোনা প্রাদুর্ভাবের পর বিগত বছরেও সীমিত পরিসরে একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর