মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

এক দশকেও অবসান হয়নি রংপুর এক্সপ্রেসের বৈষম্য

নজরুল মৃধা, রংপুর

আন্তনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি শুরু থেকে গোড়ায় গলদ নিয়ে ঢাকা-রংপুর লাইনে চলাচল করছে। বৈষম্যের কারণে আসন সংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ যাত্রীও রংপুর থেকে ঢাকা যেতে পারছে না। ফলে টিকিট সংকটসহ নানা ভোগান্তি নিয়ে যাত্রীরা চলাচল করছেন। এক দশকের বেশি সময় ধরে এই অবস্থা চললেও রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার সাহা জানান, আরও বগি বাড়ানো যায় কি না এ বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। রেল সূত্রে জানা গেছে, রংপুর এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা প্রায় ৭০০। এসি বাথ ১৭টির মধ্যে রংপুরের জন্য বরাদ্দ ১০টি। এ ছাড়া এসি চেয়ার ১১০টির মধ্যে রংপুরের জন্য বরাদ্দ ৩৫টি এবং সাধারণ শোভন প্রায় ৫০০ আসনের বিপরীতে রংপুর থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১২০টি। আসন সংখ্যার অনেক কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে রংপুরকে। ফলে প্রতিনিয়িত স্টেশনে ঢাকার টিকিটের জন্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। ২০১১ সালের ২১ আগস্ট চালু হওয়া এই ট্রেনটি ঢাকা ও রংপুরের মধ্যে সপ্তাহে ছয়দিন চলাচল করে। গড় সময় ১০ ঘণ্টা হলেও অনেক সময় সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে কিছু বাড়তি সময় লাগে। রংপুর রেলের এক কর্মকর্তার মতে আরও দুটি শোভন ও দুটি এসি চেয়ার কোচের বগি বাড়ানো হলে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে। ঢাকায় নিয়মিত যাতায়াতকারী যাত্রী সিরাজুল ইসলাম, আবিদ করিম মুন্না, রমজান আলীসহ বেশ কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিবার ঢাকা যেতে টিকিট না পাওয়ার যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। বেশির ভাগ সময় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দিয়ে কালোবাজারে টিকিট কিনতে হয়। রংপুরের মানুষের সুবিধার জন্য এ ট্রেন চালু করা হলেও টিকিটের বরাদ্দে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। তারা এই বৈষম্য অবসানের দাবি জানান। তারা জানান, রংপুর থেকে আরেকটি আন্তনগর ট্রেন চালুর দাবিটিও দীর্ঘদিন থেকে উপেক্ষিত হয়ে আসছে। আরেকটি ট্রেন চালু হলে সড়কপথে যানজটের ভোগান্তি এড়িয়ে অনেকে ট্রেনে যাতায়াতের সুয়োগ পেত। পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসীম কুমার সাহা জানান, আসন সংকটের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

আরও বগি বাড়ানো যায় কি না এ বিষয়ে চিন্তা করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর