বুধবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

বাঁধে ছিদ্র করার বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা উপকূলীয় দাকোপ, পাইকগাছা কয়রায় বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ ঢুকিয়ে লবণপানি তুলছেন চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ীরা। এতে দুর্বল হয়ে পড়া বেড়িবাঁধ ছোটখাটো দুর্যোগেও ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এরই মধ্যে পাইকগাছার দেলুটি ও লতা ইউনিয়নে বাঁধ ছিদ্র করে লবণপানি তোলায় ৮০ জন চিংড়ি চাষির তালিকা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাঁধে ৬ শতাধিক স্থানে ছিদ্র করে ঢোকানো অবৈধ পাইপ-কালভার্ট উচ্ছেদ করা হচ্ছে। গতকাল পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পোল্ডারের মধ্যে লবণপানি ঢোকানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরালো হলে পাউবোর পক্ষ থেকে বাঁধ ছিদ্র করে অবৈধ পাইপ অপসারণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চিঠি দিয়ে স্থানীয় থানা পুলিশ দেলুটি ও লতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের উচ্ছেদ কার্যক্রমে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।

দেলুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল জানান, ২০-২১ নম্বর পোল্ডারে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার বাঁধের ৫ শতাধিক স্থানে ছিদ্র করে পাইপ ঢোকানো হয়েছে। পোল্ডারের ভিতরে লবণপানি ঢোকানো বন্ধ করতে এসব পাইপ-কালভার্ট উচ্ছেদ করা হবে।

একইভাবে লতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস বলেন, ১৮-১৯ নং পোল্ডারের শতাধিক স্থানে বাঁধ ছিদ্র করে লবণপানি ঢোকানো হচ্ছে। তিনি বলেন, বাঁধ ছিদ্র করে পাইপের মাধ্যমে চিংড়ি ঘেরে পানি ঢোকানো হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব চিংড়ি চাষির তালিকা করেছে। যেখানে সেখানে পাইপ বসানোর কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম জানান, বেড়িবাঁধ ছিদ্র করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর