সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

খুলনায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আটক বাণিজ্যের অভিযোগ স্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও আটক বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন স্ত্রী ফারজানা বিনতে ফাকের (১৯)। একই সঙ্গে যৌতুকের দাবিতে থানায় ডেকে তাকে নির্মম নির্যাতন ও তার বাবা-মা, বোনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির কথা জানিয়েছেন। এসব ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ ও মহানগর আমলি আদালতে দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে খুলনা সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সোবাহান মোল্লার বিরুদ্ধে লিখিতভাবে এসব অভিযোগের কথা জানানো হয়। এর আগে সোবাহান ২০১৫-২০২১ পর্যন্ত প্রায় সাত বছর সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সোবাহান-ফারজানার আট মাসের শিশুপুত্র ও আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ফারজানা বিনতে ফাকের বলেন, গত আট মাস আগে সোনাডাঙ্গা এলাকার নৈশপ্রহরী মোসলেমকে মাদক মামলায় চালান দেয় সোবাহান। কিন্তু পরে জানা যায়, মাদকের মূল অভিযুক্তকে টাকার বিনিময়ে বাঁচাতে নামের মিল থাকায় নিরীহ নৈশপ্রহরী মোসলেমকে ফাঁসানো হয়েছে।

বিষয়টি জানাজানি হলে আট মাস সাজা ভোগের পর কিছুদিন আগে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া সোবাহান মোল্লার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, মাদক ব্যবসায় যোগসাজশ ও সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগ পুলিশের হেডকোয়ার্টারে তদন্তাধীন রয়েছে। ফারজানা বিনতে ফাকের আরও জানান, প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন রেখে তাকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করে সোবাহান। পরে ‘পুলিশ ইন্সপেক্টরশিপ’ পরীক্ষায় ঘুষ দিতে হবে জানিয়ে তার বাবার কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করা হয়। টাকা না দেওয়ায় ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সোনাডাঙ্গা থানায় ডেকে নিয়ে অকথ্য গালিগালাজ ও পিস্তল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার মাথায় একাধিক সেলাই দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে উপ-পুলিশ পরিদর্শক সোবাহান মোল্লা জানান, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর তিনি ফারজানাকে তালাক দিয়েছেন। এরপর তার বাবা-মা ও বোন মাগুরায় তাদের বাড়িতে গিয়ে হয়রানির চেষ্টা করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ছবি এডিট করে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। 

সর্বশেষ খবর