রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

সিলেট বিএনপিতে শেষ সময়ে নতুন সমীকরণ

জেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সম্মেলন ও কাউন্সিল নিয়ে তোড়জোড় চলছে সিলেট জেলা বিএনপিতে। জেলার আওতাধীন ১৮টি ইউনিটের মধ্যে শেষ হয়েছে ১৪টি ইউনিটের কাউন্সিল ও কমিটি গঠন। চলতি মাসের মধ্যে বাকি ইউনিটের কাউন্সিল শেষ করে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই জেলার কাউন্সিল করতে চান বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির নেতারা। কমিটির শীর্ষ পাঁচ পদের নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে। কাউন্সিলকে সামনে রেখে পদপ্রত্যাশীদেরও দৌড়ঝাঁপ চলছে সমানতালে। কিন্তু কাউন্সিলের প্রস্তুতির শেষ সময়ে এসে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছেন সিটি মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। সভাপতি পদে প্রার্থী হতে চান তিনি। এমন খবরে জেলা বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে চলছে নতুন করে হিসাব-নিকাশ। শেষ সময়ে আরিফের প্রার্থী হওয়াকে অনেকেই চমক হিসেবেই দেখছেন। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। কামরুল হুদা জায়গীরদারকে আহ্বায়ক করে গঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। বর্তমানে কেন্দ্রের চাপ ও করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় চলছে সম্মেলনের তোড়জোড়। দলীয় সূত্র জানায়, জেলার আওতাধীন ১৩টি উপজেলা ও পাঁচটি পৌর শাখার মধ্যে নয়টি উপজেলা ও সবকটি পৌর শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউন্সিলের বাকি রয়েছে ওসমানীনগর, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ  ও বালাগঞ্জ। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ উপজেলারও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এতদিন পর্যন্ত জেলা বিএনপির সভাপতি পদে সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ ও আবদুল আহাদ খান জামাল, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি এম এ মান্নান ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা কামরুল হাসান শাহীন প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু শেষ সময়ে এসে সভাপতি পদে নতুন সমীকরণ তৈরি করে দিয়েছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আরিফুল হক চৌধুরী এবার প্রার্থী হতে চান জেলা বিএনপির সভাপতি পদে। সিলেটের রাজনীতিতে ক্যারিশমেটিক নেতা হিসেবে পরিচিত আরিফ শেষ পর্যন্ত কী চমক দেখান সেটি দেখার অপেক্ষায় নেতা-কর্মীরা। আরিফুল হক চৌধুরী অবশ্য এখনো পুরোপুরি মুখ খুলতে নারাজ। বলছেন, নেতা-কর্মীরাই তাদের নেতৃত্ব বাছাই করবে। সূত্র জানিয়েছে, কাউন্সিলের পর বিভিন্ন উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্তরা মেয়র আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করায় তিনি প্রার্থী হতে আগ্রহী হয়েছেন।

সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সদস্য আবুল কাহের শামীম বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব ইউনিটে কাউন্সিল সম্পন্ন হবে।

এরপর কেন্দ্র থেকে জেলার সম্মেলন ও কাউন্সিলের তারিখ চাওয়া হবে। আশা করা যাচ্ছে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই কাউন্সিল হবে। আবুল কাহের শামীম বলেন, সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রচ  চাপ আছে। নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা পূরণ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানকে দেশে ফেরানো ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিতের আন্দোলন জোরদার করতে তিনি জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পুনরায় নিতে আগ্রহী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর