রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

বিপজ্জনক যান খুলনার সড়কে বাড়ছে ভোগান্তি, ঘটছে দুর্ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা নগরীসহ আঞ্চলিক মহাসড়কে বিপজ্জনক যানবাহন নসিমন, করিমন, ভটভটি ও ট্রলির চলাচল বেড়েছে। শহরের মধ্যে ইট-বালু-মাটি বহন ও আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে যাত্রী পরিবহনে ঝুঁকিপূর্ণ এ  যানবাহন ব্যবহৃত হচ্ছে। জানা যায়, প্রচ  শব্দে চলাচল করা এসব যানবাহনে কোনো লুকিং গ্লাস থাকে না। ফলে পেছন থেকে হর্ন দেওয়া হলেও অপ্রশিক্ষিত চালকরা তা বুঝতে পারে না। আবার সড়কের যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে যায়। হঠাৎ করে ইউটার্ন নিয়ে বসে। এতে সড়কে ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনা। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা নগর সভাপতি ইকবাল হোসেন বিপ্লব বলেন, শহরের মধ্যে এসব বিপজ্জনক যানবাহনের চলাচল বেড়েছে। ইটভাটা থেকে ইট-বালু-মাটি বহনে ভটভটি-ট্রলি ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব যানবাহনে তেমন কোনো নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। এদিকে সড়ক-মহাসড়কে নিষিদ্ধ হলেও খুলনা-পাইকগাছা সড়কে নসিমন করিমন চলাচল করছে। সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জের কিছু অবৈধ মাইক্রোবাস লোকাল যাত্রী বহন করে।

থ্রি-হুইলার মাহেন্দ্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে, পেট্রোল পাম্পের সামনে, জিরোপয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে যাত্রী নিয়ে চুকনগর, আঠারো মাইল, সাতক্ষীরায় চলাচল করে। একই সড়কে দ্রুতগতির পাশাপাশি কম গতির যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে। ফলে অবৈধ এ যানবাহন চলাচল বন্ধে ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনার জিরোপয়েন্টে যৌথভাবে সড়ক অবরোধ করেন বাস মালিক-শ্রমিকরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, মাসিক চুক্তিতে টাকা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ এসব যানবাহন চলাচল করে। মাঝে-মধ্যে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে অভিযান চললেও তা বন্ধ করা যায়নি। এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ বেগম বলেন, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে প্রধান সড়কে এ ধরনের যানবাহন চলাচল করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর