মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজধানীতে তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর রায়েরবাজার, দক্ষিণ কমলাপুর ও খিলগাঁও নন্দীপাড়ায় নারীসহ তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে তাদের পরিবার। তারা হলেন- মাশরুর চৌধুরী আলমাস (৩৫), তামান্না আক্তার (১৪) ও স্বর্ণা আক্তার (২২)। তাদের তিনজনকেই ঢাক, মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রবিবার রাতের বিভিন্ন সময় এ ঘটনাগুলো ঘটে। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়গুলো নিশ্চিত করে জানায়, তিনজনের পরিবারের লোকজন দাবি করেন তারা আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে বিষয়গুলো অবগত করা হয়েছে। লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, দক্ষিণ কমলাপুরে নিজ বাসায় রাতে গলায় ফাঁস দেয় মাশরুর চৌধুরী আলমাস। গুরুতর অবস্থায় তাকে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আলমাসের ছোট ভাই মামনুন আলী চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ কমলাপুর জসিম উদ্দিন রোডে নিজেদের তিনতলা বাড়ি। আলমাস বেশ কিছুদিন সৌদি আরব ছিলেন। এক বছর আগে দেশে আসেন। স্ত্রী শামিমা আক্তার ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। কয়েক দিন আগে স্ত্রী শামিমাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি সিলেট যান। স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে দুই দিন আগে ঢাকায় চলে আসেন। মামুন আরও জানান, তিনি রাগী প্রকৃতির ছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে কি না জানি না। বাসায় ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন।

খিলগাঁও নন্দিপাড়ার নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তামান্না আক্তার। তামান্নার বোন শাহনাজ আক্তার জানান, তাদের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায়। বর্তমানে খিলগাঁও পশ্চিম নন্দিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। বাবা খবির মিয়া ও মা অঞ্জনা বেগম এলাকায় ভ্যানে সবজি বিক্রি করতেন। শাহনাজ আরও জানান, সন্ধ্যায় ঘরে কাজ করছিল তামান্না। তখন মা অঞ্জনা বেগম অন্য কাজ করতে বলে তাকে। এতে মা-মেয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। অভিমানে ঘরের মধ্যে তামান্না ওড়না দিয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়।

মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বর্ণা আক্তার। সন্ধ্যা ৭টার দিকে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পাশে টিনশেড বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্বর্ণার মা সালমা বেগম জানান, তিন বছর আগে আশিক নামে এক ভ্যান চালকের সঙ্গে স্বর্ণার বিয়ে হয়। এক ছেলেকে রেখে এক বছর আগে চলে যায় আশিক। রায়েরবাজারের বাসায় মা-মেয়ে একসঙ্গে থাকত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর