বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়

খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাজুসের ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেছেন, ‘সারা দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বাজুসের পতাকাতলে আনাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’ তিনি বলেন, ‘বাজুসের নতুন কমিটি নতুন অভিযাত্রা শুরু করেছে। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপ বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর। তারই নির্দেশনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বাজুসের পতাকাতলে আনতে প্রথম পর্যায়ে সব বিভাগে প্রতিনিধি সভা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সিলেট, রংপুর ও রাজশাহীতে এই প্রতিনিধি সভা হয়েছে। আজ (বুধবার) খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা যশোরে অনুষ্ঠিত হলো।’ ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, “বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আর সেই লক্ষ্যে তিনি সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশে এশিয়ার বৃহত্তম স্বর্ণ কারখানা গড়ে তুলতে যাচ্ছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশে এখন থেকে আমরা পিওর স্বর্ণ উৎপাদন করতে যাচ্ছি। আগে যেটা আমরা সুইস বার দেখতাম, যেখানে লেখা থাকত ‘মেইড ইন সুইজারল্যান্ড’, এখন থেকে স্বর্ণবারে লেখা থাকবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। এর পাশাপাশি বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের পরামর্শে জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়ন ও জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের ভাগ্যের উন্নয়নে আমরা একটি গোল্ডব্যাংক তৈরি করতে যাচ্ছি, যে ব্যাংকের মধ্য দিয়ে দেশের ছোট, মাঝারি ও বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য আর্থিক ঋণ দেওয়া হবে।”

প্রধান অতিথি বলেন, ‘সারা দেশে সংগঠনকে শক্তিশালী করে বাজুসের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। আমাদের স্বর্ণের ঐতিহ্য নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। আমাদের ভালো শিল্পী ও কারিগর ছিল। তাদের গর্ব করার মতো নৈপুণ্য ছিল। কাজ দিতে পারিনি বলে তারা অন্য দেশে গিয়ে এ কাজ করছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর ঘোষণা করেছেন, আমরা শুধু কাঁচামাল অর্থাৎ স্বর্ণবার উৎপাদন করেই থেমে থাকব না। এই স্বর্ণবার দিয়ে যাতে সারা দেশে অলঙ্কার তৈরি করা যায় সে জন্য বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে স্বর্ণ কারখানা বা ইন্ডাস্ট্রি তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।’

ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘আমাদের বাজুসের নতুন প্রেসিডেন্ট নতুন স্বপ্নের আলো দেখাচ্ছেন। এই স্বপ্ন সফল হলে বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বর্ণশিল্পের উন্নয়নে স্বর্ণ নীতিমালা দিয়েছেন। এই নীতিমালা যাতে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হয় সে জন্য এই ফ্যাক্টরি করা। আমরা আর পরনির্ভর থাকব না। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এত দিন বিদেশ থেকে স্বর্ণ ও অলঙ্কার এনে বিক্রি করতেন। এখন থেকে আমরা স্বর্ণবার ও অলঙ্কার তৈরি করে দেশের চাহিদা যেমন মেটাতে পারব, তেমনি এগুলো রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে পারব।’

বুধবার দুপুরে যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত বাজুসের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের যশোর জেলা শাখার সভাপতি ও খুলনা বিভাগীয় প্রধান রকিবুল ইসলাম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাজুস সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, বাজুসের ল অ্যান্ড মেম্বরশিপ ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাসুদুর রহমান ও মনিটরিং অব ডিস্ট্রিক্ট অরগানাইজেশনের মেম্বার সেক্রেটারি মো. জয়নাল আবেদীন খোকন। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও এসব জেলার প্রতিটি উপজেলার বাজুস নেতা ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর