রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের হল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ মার্চ। সম্মেলন ঘিরে ইতোমধ্যে চাঙা হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। দীর্ঘদিন রাজনীতি করার পরও যারা পদ-পদবি থেকে বঞ্চিত ছিলেন, তাদের সামনে নেতা হওয়ার সুযোগ এখন। তাই সম্মেলন উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কারা আসবেন হলের দায়িত্বে- এ নিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থী ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ব্যানার-ফেস্টুন ও মিছিল-মিটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন পদপ্রত্যাশীরা। রুটিন করে দলীয় টেন্টে বেড়েছে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি। আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস স্লোগানে স্লোগানে মুখর। সব মিলিয়ে ক্যাম্পাসে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন ৪১৬ জন ছাত্রলীগ কর্মী। রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু জানান, ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি হল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত তখন সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।
তবে সম্মেলনের জন্য প্রত্যেক হলের সব পদপ্রত্যাশীকে ১৮ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক ও উপ-দফতর সম্পাদক বরাবর জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। ওই সময় ১৭টি আবাসিক হলে মোট ৪১৬ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন।
তিনি বলেন, ‘জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার পর অনেক দিন পার হয়েছে। জীবনবৃত্তান্তগুলো আমরা ভালোভাবে পর্যালোচনা করেছি। তাছাড়া যারা জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন তারা সবাই আমাদের পরিচিত। তাদের মধ্যে যারা সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন, পারিবারিকভাবে যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং যাদের সবচেয়ে বেশি যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা আছে তাদেরই আমরা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার চেষ্টা করব।