শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

রমেক হাসপাতালে কিডনি বিভাগের অবস্থা নাজুক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে মাত্র ১৬টি ডায়ালাইসিস মেশিন সচল। ফলে কিডনি রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীরা ঠিকভাবে এ সেবা পাচ্ছেন না। কিছুদিন আগেও প্রায় ২৮টি ডায়ালাইসিস মেশিন সচল ছিল। নষ্ট হতে হতে এখন ১৬টিতে এসে দাঁড়িয়েছে। রমেক হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডসূত্রে জানা গেছে, রংপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার ২ শতাধিক কিডনি রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তারা অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। তাদের প্রতি সপ্তাহে অন্তত চার দিন ডায়ালাইসিস করার জন্য আসতে হয়। নতুন রোগী তো আছেনই। এ অবস্থায় অনেক সময় রোগীরা দুই থেকে তিন দিন লাইন দিয়েও সিরিয়াল পাচ্ছেন না। ফলে তাদের স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মক হুমকির মুখে। এ ছাড়া পানি ফিল্টার করার মেশিন বেশির ভাগ সময় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। পানির অভাবে ডায়ালাইসিস মেশিন অনেক সময় কাজ করে না।

ফিল্টার মেশিনে যেখানে ঘণ্টায় ১০ লিটার পানি সরবরাহের কথা সেখানে অনেক কম পানি সরবরাহ করছে। রোগীরা অভিযোগ করেছেন, এ বিভাগের রোগীদের স্যালাইন, সুইসহ ওষুধপত্র সবই বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। সরকারি হাসপাতাল হিসেবে যেসব সেবা পাওয়ার কথা তা পাচ্ছেন না।

ওই বিভাগের রোগীর স্বজন সাহাবুল হক বলেন, ‘আমরা ২৫ হাজার টাকার প্যাকেজ কিনেছি। যা দিয়ে মাসে চারবার করে ছয় মাস ডায়ালাইসিস করার কথা। কিন্তু সুই থেকে শুরু করে সব জিনিসই বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। একজন রোগীর ডায়ালাইসিস করতে চার ঘণ্টা লাগে। সেখানে দেড় থেকে দুই ঘণ্টার বেশি ডায়ালাইসিস করানো হয় না।’

রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম কিডনি বিভাগের ১৬টি ডায়ালাইসিস মেশিন সার্বক্ষণিক চালু রয়েছে দাবি করে বলেন, ‘ওই ওয়ার্ডে সবকিছুই স্বাভাবিক রয়েছে। ডায়ালাইসিসের অভাবে গত কয়েকদিনে কোনো রোগী মারা যাননি।’

সর্বশেষ খবর