শিরোনাম
শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

অযোগ্য প্রার্থী নিয়োগ থেমে নেই

আকতারুজ্জামান

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুকৃবি) শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে একের পর এক অভিযোগ ওঠার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। জানুয়ারিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে উপাচার্য ড. মো. শহীদুর রহমান খানের মেয়ে ইশরাত খানের নিয়োগ ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছিল ইউজিসি। মো. আশিকুল আলমের পিএইচডি ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের বিষয়টিও উঠে আসে তদন্তে। প্রমাণ মেলে নিয়োগ নিয়ে আরও অনেক অনিয়মেরও। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো থেমে নেই অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারকে। বিষয়টি নিজে স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত রেজিস্ট্রার।

সূত্র জানায়, খুকৃবির নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী, রেজিস্ট্রার হতে হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এডিশনাল রেজিস্ট্রার/সমমান পদে চার বছর এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার/সমমান পদে চার বছরের অভিজ্ঞতাসহ প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়/সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজে ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের চাকরির বয়স মোট ১৩ বছর। এর আগে তিনি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলেও তার নিয়োগ ও প্রমোশন নিয়েও রয়েছে অনেক অভিযোগ। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অর্গানোগ্রামে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারের কোনো পদ না থাকলেও ২০১৫ সালে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মাজহারুল আনোয়ারকে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল।

৪ মার্চ সপ্তম ও দশম গ্রেডের কয়েকটি পদেও নিয়োগের বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন এসব নিয়োগ অনুমোদনের সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান রেজিস্ট্রারের ভাতিজি জান্নাতুল নাঈমও। সিন্ডিকেটের বেশ কয়েকজন সদস্যের প্রবল আপত্তির মুখেও কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

খুকৃবির সিন্ডিকেট সদস্য ও সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে কিনা সেটা সিলেকশন বোর্ড ভালো বলতে পারবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শহীদুর রহমান খানের মোবাইলে দফায় দফায় কল ও মেসেজ পাঠালেও তিনি রিসিভ করেননি। রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার প্রতিবেদককে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে আমার ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা নেই। তবে অন্য প্রকল্পে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর কাম্য ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা না থাকায় দুটি ইনক্রিমেন্ট কম পাব এমন শর্ত দিয়ে রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আমাকে।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অর্গানোগ্রামের বাইরে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতির বিষয়টিও স্বীকার করেন তিনি। মাজহারুল আনোয়ার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এমন রীতি রয়েছে। আর ভাতিজি জান্নাতুল নাঈমের নিয়োগের ব্যাপারে বলেন, তিনি আমার সরাসরি আত্মীয় নন। তারা অস্থায়ী ভিত্তিতে ছিলেন। সিন্ডিকেটে তাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর