মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

বিদেশি গেম জোনের অনুভূতি দেশে

বসুন্ধরা সিটিতে থিমপার্ক ‘টগি ফান ওয়ার্ল্ড’

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদেশি গেম জোনের অনুভূতি দেশে

বসুন্ধরা সিটিতে থিমপার্ক টগি ফান ওয়ার্ল্ডে আনন্দে মেতেছে শিশুরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

গতকাল সরেজমিন অসাধারণ সব গেমস ও রাইড দেখে অন্য রকম সময় কাটান বিশিষ্ট সাংবাদিকগণ। তারা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, খেলাধুলার সংকীর্ণ সুযোগের রাজধানী ঢাকায় টগি ফান ওয়ার্ল্ড যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। বিদেশের গেম জোনগুলোতে যে ধরনের একটা অনুভূতি কাজ করে. তাদের যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সেটা পাওয়া যাচ্ছে এখানে। একদিকে বিনোদন অন্যদিকে যুবসমাজের মাদকাসক্তিসহ নেতিবাচক চিন্তা থেকে ফেরাতে পারে টগি ফান ওয়ার্ল্ডের এমন আয়োজন। এখানে আসলে বিনোদনে ডুবে থাকার মাধ্যমে অপরাধমূলক চিন্তা থেকে দূরে থাকবে তারা। টগি ফান ওয়ার্ল্ড সেজেছে সে রকম নতুন সাজে। আধুনিকায়নের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন রোমাঞ্চকর সব গেমস এবং রাইড, যার সংখ্যা দেড় শতাধিক। সন্তানের সঙ্গী বাবা-মায়েদের বিনোদনের উপযোগী আয়োজনও আছে টগি ফান ওয়ার্ল্ডে, যেন পুরো পরিবার একসঙ্গে মেতে উঠতে পারে জীবনের আনন্দে। এসব গেমস ও রাইডের সিংহভাগই ইউরোপ এবং চীন থেকে আমদানি করা। প্রতিটি রাইডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের।

ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী,  আজকের পত্রিকা সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান, আজকালের খবর সম্পাদক ফারুক আহমেদ তালুকদার, রাইজিং বিডি সম্পাদক এম. এম. কায়সার, শেয়ার বীজ প্রকাশক ও সম্পাদক মীর মনিরুজ্জামান, সংবাদ প্রতিদিন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিমন, আলোকিত বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শামীম সিদ্দিকি, নয়া দেশ সম্পাদক আলম কিরণ, বাংলাদেশ জার্নাল জয়েন্ট নিউজ এডিটর জোবায়ের আহমেদ নবীন প্রমুখ গতকাল টগি ফান ওয়ার্ল্ড ঘুরে দেখেন। এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব উপস্থিত ছিলেন।

টগি ফান ওয়ার্ল্ড দেখতে গিয়ে ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বসুন্ধরা সিটি আগে সবার কাছে পরিচিত ছিল শুধু শপিং মল হিসেবে। এখানে সিনেমা হাউস আছে, ফুডকোর্ট আছে। সব দেখে যদি কেউ গেমজোনে না আসে তবে বুঝতে পারবে না যে এই ভবনেই এত বড় আয়োজন আছে। বিদেশের গেম জোনগুলোতে গেলে যে ধরনের একটা অনুভূতি কাজ করে, গেমজোনের আধুনিক যে সুযোগ-সুবিধাগুলো, সেটা এখানে পাওয়া যাচ্ছে। কোনো বিদেশি যদি এখানে আসে তারাও বুঝতে পারবে বাংলাদেশেও তাদের দেশের মতো আধুনিক গেমজোন করা সম্ভব। বসুন্ধরা সিটিতে বসুন্ধরা গ্রুপ এমন একটি আয়োজন করায় তাদের প্রশংসা করতে হয়।

তিনি আর বলেন, যে কোনো প্রজন্মের বাচ্চা থেকে বয়স্ক পর্যন্ত তারা সবাই এখানে আসলে সারা দিনের জন্য নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এটি একদিকে বিনোদন, অন্যদিকে যুবসমাজের মাদকাসক্তিসহ নেতিবাচক চিন্তা থেকে ফেরানোর এক নব আবিষ্কার। এখানে এসে বিনোদনে ডুবে থাকলে অপরাধমূলক চিন্তা থেকে দূরে থাকা যাবে আর বাচ্চারা তো এটিকে অসাধারণ উপভোগ করবে।

সর্বশেষ খবর