মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

নিজ উদ্যোগে স্যুয়ারেজ প্লান্ট করতে বললেন সালমান এফ রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজ উদ্যোগে স্যুয়ারেজ প্লান্ট করতে বললেন সালমান এফ রহমান

গুলশান, বনানী ও বারিধারায় এলাকাভিত্তিক অনসাইড স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুল রহমান এমপি। তিনি বলেন, ‘যাদের সামর্থ্য আছে তারা নিজস্ব উদ্যোগে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করে ফেলেন। আর যাদের সামর্থ্য নেই তারা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় আসতে পারেন। যিনি এ উদ্যোগটি নেবেন তিনি ১২ বছরের মধ্যে তার খরচ ও লাভ উঠিয়ে নেবেন।’ গতকাল রাজধানীর ডিএনসিসি নগর ভবনে দুই দিনব্যাপী ‘নিরাপদ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারের শেষ দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পয়োনিষ্কাশন সেবা না দিলেও জনগণের কাছ থেকে ঢাকা ওয়াসার বিল নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন নেটওয়ার্ক কার্যকর নয়। লোকজন পয়োবর্জ্যরে সংযোগ বৃষ্টির পানির নালায় দিয়ে পরিবেশ দূষণ করছে। অথচ ওয়াসা পানির বিলের সমান পয়োনিষ্কাশন বিল আদায় করছে। জনগণ কেন এ টাকা দেবে?

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল ও ইউনিসেফের ওয়াস বিভাগের প্রধান জায়েদ জুরজি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের (পানি সরবরাহ অনুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন ও রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরী।

সভাপতির বক্তব্যে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসা আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হচ্ছে। দাশেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হয়েছে কিন্তু নেটওয়ার্ক নেই। কবে এ নেটওয়ার্ক হবে তার অপেক্ষায় কি আমরা বসে থাকব! পয়োনিষ্কাশন নেটওয়ার্ক না থাকলে পাগলা, দাশেরকান্দি কোনোটাতেই কোনো কাজ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘খাল আমরা বুঝে পেয়েছি সেজন্য স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তবে খালের অবস্থা খুবই খারাপ। এ খালে স্যুয়ারেজের বর্জ্যসহ সব ধরনের ময়লা ফেলা হয়। এ খালের নাব্য হারানোর সঙ্গে পানির মানও হারিয়েছে। এখন বায়োলজিক্যাল সমাধান ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’

মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এখন মানুষ খাল পেছনে রেখে ভবন নির্মাণ করছে। আর ২০২৪ সালে দেখবেন খাল সামনে রেখে মানুষ ভবন নির্মাণ করছে। কারণ ওই সময়ের মধ্যে খাল আধুনিকায়ন করা হবে।

সর্বশেষ খবর