সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ‘গুণীশ্রেষ্ঠ’ সম্মাননা দিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। গত বুধবার রাতে নগরীর সারদা হলের সামনে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত মুহিত বলেন, ‘আজকে সম্মাননা জানিয়ে আপনারা আমাকে কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করলেন। এ ধরনের সম্মাননা অনুষ্ঠান বিভিন্ন স্থানে, দেশে হয়ে থাকে। যারা সম্মাননা পান তারা খ্যাতনামা, বিশাল জ্ঞানের অধিকারী, কর্মক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা প্রদর্শিত। জানি না আমি কোনটা। তবে আমি একটা জিনিস জানি সেটা জনসেবা, জনমঙ্গল। যারা এটা করেন তারা মানুষের দ্বারা স্বীকৃত হন। আপনারা জানেন, আমি এ দেশের বৃদ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। এ বছরের জানুয়ারি মাসে আমার বয়স ৮৮ বছর হয়েছে। এমন অনুষ্ঠানে কী বক্তব্য দেওয়া যায়। একটি হলো প্রস্তুতি নিয়ে বক্তব্য দেওয়া, আরেকটি হলো উপস্থিত পরিস্থিতি বিবেচনায় বক্তব্য দেওয়া।
আমি দ্বিতীয় পদ্ধতিটি অনুসরণ করলাম। এতে অবশ্য স্মৃতিচারণ বেশি হয়, আমি তাই করব।’
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক ভাইবোন ছিলাম, ১৪ জন। এর মধ্যে একজন ছোট বয়সে মারা যান। আমার মায়ের বয়স যখন ১৪ বছর পূর্ণ হলো সেদিনই তিনি গৃহবধূ হলেন। এই বয়সে তাকে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হলো। আমার বাবার বয়স তখন ২৮। মায়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। আমার বাবা আইনপেশা, রাজনীতির ফাঁকে ফাঁকে কীভাবে যেন আমার ‘আনপড়া’ মা-কে শিক্ষিত করে তোলেন।’মুহিত বলেন, ‘আজ আপনাদের থেকে সম্মান পেয়ে গর্ববোধ হয়। একে সেল্ফ গ্লোরি বলতে পারেন। অনেকে এটা ঠিক নয়, বলেন। তবে আমি এটাকে গ্রহণ করব। গর্ববোধে আরোহণ করাই এ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য। আমি একান্তই সিলেটের মানুষ। সিলেট নগরীতে আমি এখন এক অতিথি। নিজের পিতৃভূমিতে, অরিজিনে এসে সম্মান পাওয়া, স্বীকৃত পাওয়া পরম গর্বের। জন্মভূমির কৃতজ্ঞতা স্বীকার এর চেয়ে বড় পাওয়া হতে পারে না’।