খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব ইকবাল হোসেনকে মারধরের ঘটনায় চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কয়রা থানায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ অজ্ঞাত আরও দু-তিন জনকে আসামি করা হয়। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, ২১ মার্চ সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রেখে সচিবকে মারধরের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপস্থিত হন। এ সময় ‘নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে’ এমন লিখিত নিয়ে ইকবালকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পরদিন অসুস্থ অবস্থায় ইকবালকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশে বাড়ি থেকে ডেকে এনে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এতে তার হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম হয়েছে। ভয়ভীতি দেখানোয় তিনি প্রথমে ঘটনাটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে লিখিত দিতে বাধ্য হয়েছেন।