এবার গ্রীষ্মে পিক আওয়ারে বিদ্যুতের ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট এবং গ্যাসের চাহিদা দাঁড়াতে পারে ১ হাজার ৫০০ এমএমসিএফডিতে। গতকাল রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ বিষয়টি জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশে এ সভা করা অপ্রাসঙ্গিক। বৈশ্বিক পরিস্থিতির জন্য করতে হচ্ছে। এ যুদ্ধের জন্য অনেক দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানান। সভায় রমজানে ও গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কেন্দ্রসমূহে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করা এবং পিক আওয়ারে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ইফতার, তারাবি নামাজ ও সাহরির সময় লোডশেডিং না করতে বলা হয়। সব বিতরণ সংস্থা ও কোম্পানিকে ওভারলোডেড ট্রান্সফরমার পরীক্ষা করে প্রতিস্থাপন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে স্টোরে পর্যাপ্ত ট্রান্সফরমার মজুদ রাখতে বলা হয়। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কার্যক্রম জোরদার করতে বলা হয়। বিদ্যুতের অপচয় রোধে সিএফএল বাল্বের পরিবর্তে এলইডি বাল্ব প্রতিস্থাপনে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। সুপার মার্কেট, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি গ্যাস স্টেশনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাতি ব্যবহার না করতে বলা হয়। ইফতার ও তারাবির সময় শপিং মল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এসি ব্যবহার সীমিত রাখার জন্যও বলা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহা. সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
