বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
টার্গেট রমজান

মিয়ানমার থেকে ছোলা আমদানি বাড়ছে

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

রমজান মাস উপলক্ষে মিয়ানমার থেকে ছোলা আমদানি শুরু হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ছোলা আমদানি বাড়াতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উৎসাহী করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবর্তে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ছোলা আমদানি করা হলে তা তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করা যাবে। কারণ, টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে মিয়ানমার কাছে হওয়ায় পরিবহন খরচ কম পড়ছে। তাই ব্যবসায়ীরা এদিকে ঝুঁকছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত মেসার্স আমিনুর রহমান, মেসার্স ফারুক অ্যান্ড ব্রাদার্স ও মেসার্স আরাফাতুর রহিম এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ওয়াটার ওয়েজ ও মেসার্স সেভেন স্টার নামে বেশ কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পাঁচ হাজার বস্তায় ৫০৯ দশমিক ৭৩৯ মেট্রিক টন ছোলা স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেছে। কয়েক দিনের মধ্যে আরও কয়েক শ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করা হবে। মেসার্স ফারুক অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক মো. ফারুক বলেন, আমদানি করা প্রতি কেজি ছোলার দাম পড়ছে ৬৪ টাকা। শ্রমিক, বন্দর ও জাহাজ ভাড়া বাবদ খরচ হচ্ছে সাড়ে তিন টাকা, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে নিয়ে বিক্রি করতে খরচ পড়ছে দুই টাকা। আর দেড় টাকা লাভ করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে ৭১ টাকায় বিক্রি করছে। মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে চলতি সপ্তাহের মধ্যে আরও কয়েকটি ট্রলারে করে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন ছোলা এসে পৌঁছাবে। গত বছর মিয়ানমার থেকে তিনি প্রায় ৮০০ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করেছিলেন। ফারুক আরও বলেন, বুধবার টেকনাফের স্থানীয় হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়, টেকনাফ পৌরসভার বড় বাজার ও বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন দোকানে মিয়ানমারের ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫ টাকা দরে। তবে এর দাম আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, গত বছর মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে এক হাজার ৪৯১ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করা হয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৮৫৭ মেট্রিক টন ছোলা এসেছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রহমান  বলেন, রমজান মাস সামনে রেখে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা সে দেশে ছোলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আগে যেসব ব্যবসায়ীর ছোলা কেনা ছিল তারা এখন সেগুলো নিয়ে আসছেন। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ী লোকসান দিয়ে বিক্রি করছেন।

মিয়ানমার থেকে ট্রলারে আসা ছোলা দ্রুত খালাসের পাশাপাশি সরবরাহ করায় বিভিন্ন জেলা শহরের বাজারে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (হিসাব) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা শাহীন আক্তার বলেন, আসন্ন রমজান উপলক্ষে মিয়ানমার থেকে ছোলা আমদানি বাড়াতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকার ছোলা আমদানিতে কোনো ধরনের রাজস্ব আদায় করছে না। তাই ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর