বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে এমন অবস্থা চাই না : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে এমন অবস্থা চাই না : আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা মামলজট কমিয়ে আনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বলেছিলেন, বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। আমরা এমন অবস্থা চাই না। মানুষ যাতে ন্যায্য বিচার পায় এবং তা যেন অতিদ্রুত পায়, সেই ব্যবস্থা চাই। গতকাল রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দেশের বিভিন্ন জেলার বিচারকদের মধ্যে গাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকদের ব্যবহারের জন্য ১৬টি মাইক্রোবাসের চাবি হস্তান্তর করেন। ৭ কোটি ৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে এসব মাইক্রোবাস কেনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, যুগ্মসচিব উম্মে কুলসুমসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বলেন, অতীতে অনেক জেলা জজ রিকশায় চড়ে আদালতে আসা-যাওয়া করতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ অবস্থার পরিবর্তন এনেছে। বিচারকদের মর্যাদা রক্ষায় যা করা দরকার তা করে দিচ্ছে। গুণগত মানসম্পন্ন গাড়ি দিচ্ছে। আদালত প্রাঙ্গণের কাছাকাছি বিচারকদের আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য প্রকল্প গ্রহণও করা হচ্ছে। মানুষ এখনো মনে করে আদালত হচ্ছে তার বিচার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল। মানুষের সেই আশ্রয়স্থল যেন নিশ্চিত থাকে, তেমনভাবে বিচারকদের কাজ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড’ এ কথাটি যেমন সত্য, তেমনি ‘জাস্টিস হারিড ইজ জাস্টিস বারিড’ এ কথাটিও সত্য। সে কারণে এর একটি ব্যালান্স বা ভারসাম্য আনা খুব প্রয়োজন। তিনি বলেন, আঠার বা উনিশ শতকে যে ফৌজদারি বা দেওয়ানি কার্যবিধি লেখা হয়েছিল সেখানে কিন্তু অনেক সংশোধন করা সম্ভব এবং সেখানে বিচারের জন্য যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ করে দেওয়ানি কার্যবিধিতে সে সময় কিন্তু এখন কমিয়ে আনা যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর