বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
জয়পুরহাটের মতিন হত্যা

একজনের মৃত্যুদন্ড বহাল সাতজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ বছর আগে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকী গ্রামে আবদুল মতিন হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সাত আসামির মধ্যে একজনের দন্ড বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। বাকিদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত একমাত্র আসামির দন্ড বহাল রাখা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা, আহসান উল্লাহ, নাজমুল হাসান রাকিব, সৈয়দা ফারাহ হেলাল ও মো. বেলাল হোসেন। আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন এস এম শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ রানা মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর সকালে পূর্বশত্রুতার জেরে ধারকী গ্রামের আবদুল মতিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন রাতেই নিহতের ভাই মামলা করেন। বিচার শেষে এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট সাতজনকে মৃত্যুদন্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহিম। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ধারকী গ্রামের ওয়াজেদ আলী ওরফে তোরাফ, মো. চৈতুন মোল্লা, ছাবাদুল, মো. মাজির উদ্দিন, মো. আনু, আবু হাসান দিলীপ ও মন্টু মিয়া।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই গ্রামের মাহবুব আলম বাবু। এ ছাড়া বিচার চলাকালে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাই কোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।

রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম বলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত সাতজনের মধ্যে শুধু মাজির উদ্দিনের সাজা বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। বাকিদের দন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে। এ ছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত বাবুর দন্ড বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর