শিরোনাম
শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

আমির হামজার ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সচিবের চিঠি

স্বাধীনতা পুরস্কার বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন বাতিল হওয়া আমির হামজার ছেলে উপসচিব মো. আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তথ্য গোপন করার অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি এ চিঠি দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল মাগুরার বাসিন্দা মরহুম আমির হামজাকে। তাঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে আমির হামজার মনোনয়ন বাতিল করে সরকার। বাবার নাম সুপারিশের জন্য বাণিজ্য সচিবের কাছে গিয়েছিলেন উপসচিব আছাদুজ্জামান। তিনি বর্তমানে খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।

আমির হামজা হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। পুরস্কার ঘোষণার পর এ তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। সাহিত্য অঙ্গনের সম্পূর্ণ অপরিচিত একজনকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার দেওয়ায় প্রায় সব মহল থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমির হামজার মনোনয়ন বাতিল করে তার বিষয়ে তথ্য গোপন করার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তপন কান্তি ঘোষকে চিঠি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে তথ্য গোপন করার অপরাধে আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন সচিবকে চিঠি দেন বাণিজ্য সচিব। তবে বিষয়টি নিয়ে কেউই নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য সচিব ন্যূনতম চিন্তা না করেই সুপারিশ করা দুঃখজনক।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ সরকার ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করে। মন্ত্রিপরিষদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ওইদিন এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে। তাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১০ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পরে ১৮ মার্চ সংশোধিত তালিকায় ব্যক্তি পর্যায়ে নয়জনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ২০২০ সালের সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের বিষয়ে। যদিও সেবার কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর