শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাবিতে ‘ডিউসান’র পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাবিতে ‘ডিউসান’র পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গতকাল ডিউসানের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধ্যয়নরত কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অব নাঙ্গলকোট’-ডিউসান-এর এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ক্রীড়াকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কুমিল্লা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়া। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হুমায়রা আখতার, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. জামিলুর আখতার, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জোহরা খাতুন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ফরিদা ইয়াসমিন, অর্থমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব কল্যাণ মিত্র সিংহ রতন উপস্থিত ছিলেন। ডিউসানের সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জোনায়েদ বাগদাদী। অনুষ্ঠানে সংগঠনের বিগত কমিটিসমূহের নেতা, সাবেক-বর্তমান  শিক্ষার্থী ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, কাজী নজরুল, ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ, শচীন দেব বর্মণের স্মৃতিবিজড়িত জেলা কুমিল্লা। নারী জাগরণেরও প্রথম পথিকৃৎ এ অঞ্চল। লাকসাম, নাঙ্গলকোট থেকে নারী জাগরণের শুরু হয়। নবাব ফয়জুন্নেসার জন্য আমরা গর্বিত। ১৮৬২ সালে তিনি কুমিল্লা শহরে ইংরেজি শিক্ষা প্রচলন করেছিলেন। ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট ডাগলাস তাকে বলেছিলেন, আমাকে ১০ হাজার টাকা ধার হিসেবে দেন। তিনি তখন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এ টাকা কীসে ব্যয় হবে? ডাগলাস বলেন, শিক্ষা ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় হবে। তখন নবাব ফয়জুন্নেসা টাকা দিতে রাজি হন। ডাগলাস টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললে তিনি বলেন, নবাব ফয়জুন্নেসা যে টাকা একবার দান করেন, তা আর ফেরত নেন না। সেই তিনিই আমাদের অঞ্চলের বাসিন্দা। আমরা সেখান থেকে উঠে আসা মানুষ। এ ছাড়াও সূর্যসেন ও তার দল যখন চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন নাঙ্গলকোটে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। এভাবেই ইতিহাসে নাঙ্গলকোট এসেছে।

উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারাই আগামীর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন। আপনাদের সেই যোগ্যতা আছে। নাঙ্গলকোটকে যদি এগিয়ে নিতে চান, তাহলে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নাঙ্গলকোটের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য এ বিষয়টি জরুরি। তা গড়ে না উঠলে আমরা থমকে যাব।

কুমিল্লা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়া বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়েই নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও হৃদ্যতা বৃদ্ধি পায়। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কখনই কোনো কিছুতে রাগ করা যাবে না। কথায় আছে, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। প্রো-অ্যাকটিভ হতে হবে। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল হওয়া যাবে না। সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। অনুষ্ঠানে ‘উন্মীলন’ নামে একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ ছাড়াও নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর