দাবি আদায়ে আলটিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির সভাপতি রেজোয়ান খন্দকার বলেন, দাবি আদায়ে রমজান মাসের পর আট বিভাগে সম্মেলন করা হবে। নির্ধারিত সময়ে দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে সারা দেশে একযোগে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রেজোয়ান খন্দকার এসব কথা বলেন। তিনি জানান, তিন দাবি জানিয়ে এর আগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আইনমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। এ সময় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজিমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। রেজোয়ান খন্দকার বলেন, অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসাবে গণ্য করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা দিতে হবে। সব ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজনপূর্বক হাই কোর্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের ন্যায় যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রতি পাঁচ বছর পর পর পদোন্নতি বা উচ্চতর গ্রেডের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া সংশোধনের মাধ্যমে এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করতে হবে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন জানান, বিচার বিভাগের কর্মচারীরা সুবিধা বঞ্চিত। তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ের জাতীয় বেতন স্কেল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বর্তমানে কিছু সংখ্যক দ্বিতীয় শ্রেণির পদ রয়েছে যা সেসময় বেতন স্কেলে সেরেস্তাদারদের নিচে ছিল। আজ তাদের বেতন দ্বিগুণ দেওয়া হচ্ছে, পদমর্যাদাও বেড়েছে। আমাদের পদোন্নতির জন্য ২০ থেকে ২২ বছর অপেক্ষা করতে হয়। এতে অনেকের কর্মস্পৃহা হারিয়ে যায়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় ন্যায্য দাবির পক্ষে থাকেন। এ দাবিও তিনি বিবেচনা করবেন বলে আমি আশা করি।