শিরোনাম
শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ছুটির দিনেও রাজধানীতে যানজট

দীর্ঘ সময়ের যানজটে অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

যানজট ঢাকাবাসীর নিত্য দিনের সঙ্গী। কর্মদিবস তো বটেই, অনেক সময় ছুটির দিনেও নগরবাসী রেহাই পান না এই ভোগান্তি থেকে। গতকাল দুপুর থেকে রাজধানীর অধিকাংশ স্থানে ছিল অসহনীয় যানজট। বাসস্ট্যান্ডগুলোতে গাড়ির জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে যাত্রীদের। রাজধানীর সাতরাস্তা, মগবাজার, বাংলামোটর, মতিঝিল, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, বিজয় সরণি, গাবতলী, মিরপুর, খিলক্ষেত, উত্তরা,  শাহবাগ ও কারওয়ান বাজার এলাকায় যানজটের এমন চিত্র দেখা যায়।  গতকাল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীতে বাড়তে থাকে যানজট। দীর্ঘ সময়ের এ যানজটে পড়ে অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে। ফলে এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে কারও দুই থেকে তিন ঘণ্টাও লেগেছে। একদিকে প্রচ- গরম তার ওপর তীব্র ট্রাফিক জ্যামে দুর্ভোগ পোহাতে হয় রাস্তায় বের হওয়া মানুষের। বিকালে কারওয়ান বাজার মোড়ে কথা হয় মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, ধানমন্ডি ২৭ থেকে পান্থপথ হয়ে কারওয়ান বাজার আসতে তার প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগেছে।

তিনি বলেন, এখানে একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। একটু আগে আসতে বিকাল ৪টায় রওনা হই। কিন্তু কারওয়ান বাজার আসতেই প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগেছে। ছুটির দিনেই যদি এই অবস্থা হয়, সবাইকে তো ঘর থেকে বের                 হওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। এয়ারপোর্ট মোড়ে কথা হয় তুরাগ পরিবহনের চালক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, কাজের বা ছুটি দিন যাই হোক না কেন, এখন সব সময় জ্যাম লেগে থাকে। খিলক্ষেত থেকে এয়ারপোর্ট আসতে এক ঘণ্টা লেগেছে।

শাহবাগে কথা হয় স্বাধীন পরিবহনের চালক মিজানের সঙ্গে। তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর স্টেশন থেকে বের হতেই এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। বাকি রাস্তার হিসাব করে লাভ নেই। এক ট্রিপ দিলে দ্বিতীয় ট্রিপ দিতে আর ইচ্ছা করে না। তার ওপর প্রচ- গরম। যাত্রীদেরও কষ্ট হয়। বিকাল ৪টায় শাহবাগে একটি বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেন তানভীর মাহমুদ। তিনি বলেন, আমি একটি প্রকাশনীতে কাজ করি। একটি বইয়ের প্রচ্ছদের কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য মোহাম্মদপুর যাচ্ছি। কিন্তু বাস তো এগোয় না। শাহবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোড পুরো রাস্তা জ্যাম। তাই হাঁটা শুরু করেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর