উদ্ধার করা বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির শকুন রক্ষা ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সিংড়া জাতীয় উদ্যানের পরিচর্যা কেন্দ্রে সুস্থ হয়ে ওঠা ১৯টি শকুন খোলা আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব শকুন ছেড়ে দেওয়া হয়। ডানা মেলে তারা প্রকৃতিতে মিশে যায়।
জানা যায়, দেশে সাত প্রজাতির শকুন রয়েছে। তবে কালের পরিক্রমায় এরা এখন বিলুুপ্ত ও বিপন্নপ্রায়। বিলুপ্তপ্রায় এই পাখি রক্ষায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে স্থাপন করা হয় শকুন উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুর ও আইইউসিএন বাংলাদেশ যৌথভাবে পরিচালিত এই কেন্দ্রে দিনাজপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে শকুন সংগ্রহ করে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। অসুস্থ ও দুর্বল শকুনদের চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করার পর প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
২০১২ সালে উত্তরবঙ্গের একমাত্র শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস উদযাপন করা হয়। কেন্দ্রটি চালু করার পর থেকে এখানে প্রতি বছর ১০ থেকে ১৫টি শকুন উদ্ধার করে আনা হতো। তবে ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৬টি শকুন পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৭টি শকুন প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার পর গতকাল বাকি ১৯টি শকুন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন।
এ সময় বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।